
সংগৃহীত ছবি
পেহেলগাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে হামলা পাল্টা হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় গত ১০ মে যুদ্ধবিরতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান। পরবর্তীতে দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করলেও বড় ধরনের কোনোর সংঘাতে জড়ায়নি। তবে, দিল্লি ও ইসলামাবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।
শনিবার (১৭ মে) ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সংলাপ নিশ্চিত করতে এবং পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কীভাবে আস্থা তৈরি করা যায় সেবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার ফলে পাকিস্তানের পানি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সকল পক্ষকে তাদের চুক্তির বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য অনুরোধ করব।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে ভারত। তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তানও।
এ নিয়ে দু’দেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি সংঘাতে রূপ নিয়েছে। গত ৬ মে মধ্যরাতে অপারেশন সিন্দুর নাম দিয়ে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এরপর ১০ মে ভোরে ফের পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দিল্লি। এর জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসলামাবাদ। ব্যবহার করা হয় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের চরম উত্তেজনার মধ্যে ১০ বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্মতির কথা জানান।
//এল//