সংগৃহীত ছবি
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হবে । অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী ও দিয়েছেন।
দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন’ শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা। দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।এ বছর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হবে।
বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নীল রংয়ের আলোকসজ্জা করা হবে।
এছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে রোড ব্র্যান্ডিং, বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে। অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন।
এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন। বর্তমানে সায়েমা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে সরকারের হিসাবে দেশে ৮৪ হাজারের বেশী অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বা অটিস্টিক মানুষ রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। এখনো সরকারের তালিকাভুক্ত হয়নি অনেকে। পরিবার ও অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ জরুরি বলে মন্তব্য করেন বিশিষ্ঠ্যজনেরা। তবে আর দশটা শিশুর চেয়ে তাদের শিক্ষাব্যয় ও সময় অনেক বেশি লাগে, তাই সরকারি ও বেসরকারিভাবে এইসব উদ্যোগ বাড়ানোর ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।
//এল//