ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪

English

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউকে বিশ্বের অন্যতম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রত্যয়

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১৯ মার্চ ২০২৪

বিএসএমএমইউকে বিশ্বের অন্যতম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রত্যয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক ,সংগৃহীত ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপচার্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহা-পরিচালক বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক বলেন, বিএসএমএমইউকে বিশ্বেও অন্যতম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নতি করবেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য কর্তৃক তিনি আগামী চার বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। 

এই উপাচার্য আগামী (২৯ মার্চ ) তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তিনি বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত ১১ মার্চ  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
রোগীদের কাছে ননী ডাক্তার নামে খ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক।  জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন। একই সাথে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছেন।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক বলেন, রোগীসহ দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। বিশ্বমানের ক্যাজুয়ালিটি ইমার্জেন্সি বিভাগ গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে একটা বেস্ট ইনস্টিটিউট করার  দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটা বাস্তবায়নে আমি সব রকমের চেষ্টা করব।
অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো চিকিৎসা পেশায় ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আমার দীর্ঘদিনের ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা, শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বিবেচনায় নিয়ে দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সেই প্রত্যাশা পূরণে চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা ও গবেষণা তিনটি বিষয়কেই প্রাধান্য দেয়া হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মাল্টিডিসিপ্লিনারি চিকিৎসার সুযোগ। তার সাথে যুক্ত হয়েছে সুপার স্পেশালিটি।
 অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোনো রোগী যেনো প্রতারিত না হয় এবং কোনো রোগী যেনো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এশিয়া অঞ্চলের একটি উন্নতমানের রেফারেল হসপিটাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশ্বমানের ক্যাজুয়ালিটি ইমার্জেন্সি বিভাগ গড়ে তোলা হবে। যাতে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের উপর রোগীর চাপটা একটু কমে। একই সাথে চিকিৎসকদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিশ্বমানের ফ্যাকাল্টিদের স্বল্পমেয়াদে ট্রেনার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। যাতে করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা জ্ঞানে, প্রজ্ঞায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে দেশেই রোগীদেরকে বিশ্বমানের চিকিৎসা দিতে সক্ষম হন।  
   
উল্লেখ্য কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী মধ্যপাড়া ও মিরাপাড়া গ্রামে তিনি ১৯৫৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। 
শিক্ষা জীবনে এমবিবিএস, এফসিপিএস (চক্ষু), রয়েল আলেকজান্দ্রা হাসপাতাল, পেইজলী, ইউকে থেকে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ইত্যাদি দেশে আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। 
কর্মজীবনে তিনি ১৯৮১ সালে চকুিরিতে যোগদান করেন।
এ সময় তিনি অধ্যাপক (চক্ষু),  স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা, অধ্যাপক (চক্ষু), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরিচালক ও অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা, লাইন ডাইরেক্টর, ন্যাশনাল আই কেয়ার (জাতীয় অন্ধ নিবারণ কর্মসূচী), মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে শিক্ষকতাসহ দায়িত্ব পালন করেছেন।  
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী অধ্যাপক ডা.  দীন মোঃ নূরুল হক তাঁর মহৎ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মতিন স্বর্ণপদক-১৯৯৮,   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ডা. আলিম মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক-২০১৬ লাভ করেছেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতেন। হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে আইয়ুব বিরোধী এবং মুনায়েম খান বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আস্থাশীল হয়ে ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ডে সাথে জড়িত ছিলেন। ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় প্রায়শঃই মরহুম শ্রদ্ধেয় শহীদ শেখ কামালের নেতৃত্বে সভা, সেমিনার ও মিছিলে সম্পৃক্ত ছিলেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে  লেখাপড়া করেন এবং ১৯৭৭-৭৮ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শখার ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। 
 

//এল//

দোহারে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন

‘গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে’

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন 

ব্যালট বইয়ে একের পর এক সিল, ভিডিও ভাইরাল

জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী

নরসিংদীতে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নবীনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ীর প্রাণহানি

শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে জখমের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচনে বাধা নেই

ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি

আমিরাতে গাড়ির ভেতর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি শিশুর মৃত্যু

ডলারের দাম বাড়ল