ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ২৩ মে ২০২৫

English

স্বাস্থ্য

মোহাম্মদপুরে ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’র স্বাস্থ্যসেবা 

শাকী খন্দকার

প্রকাশিত: ১৭:১১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

মোহাম্মদপুরে ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’র স্বাস্থ্যসেবা 

ফাইল ছবি

‘মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল’ হলেও স্থানীয়ভাবে এটি ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’ নামেই পরিচিতি লাভ করেছে। মোহাম্মদপুরের আওরঙ্গজেব রোড ও তাজমহল রোডের মাঝামাঝিতে হাসপাতালটি অবস্থিত। প্রবেশ পথেই বড় মাঠ, নানা রকমের গাছ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্স এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহারও অন্য হাসপাতালের সঙ্গে চোখে আঙ্গুল দিয়ে পার্থক্যটা বুঝিয়ে দেয়।

ছয়তলা ভবনটির নিচতলায় ইপিআই কার্যক্রম, বহির্বিভাগ, সমাজসেবা, দ্বিতীয়তলায় প্রসবপূর্ব এবং প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা, সব ধরণের পুষ্টি, ল্যাবরেটরি, নারী এবং পুরুষদের বন্ধ্যাকরণ সর্ম্পকিত চিকিৎসা, কিশোরী মায়েদের কাউন্সিলিং, তৃতীয় তলায় আলট্রাসনোগ্রাম এবং প্রসবকালীন সেবা, চতুর্থতলায় প্রশিক্ষণ, পঞ্চম তলায় মায়েদের কেবিন এবং ওয়ার্ড, শিশুদের ওয়ার্ড, শিশু ইউনিটের ভেতরেই তিন বেড নিয়ে কেএমসি (ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার) করা হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুনীরুজ্জামান সিদ্দিকী জানান, ১৯৭৪ সালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মিত হয়। ১০০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতাল চালু করা হয় ২০১০ সালে।

ডা. মুনীরুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ১৫০ জন রোগী থাকছে। তিনি বলেন, এতো রোগীর চাপ রয়েছে হাসপাতালটি। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণায়লে হাসপাতালটি ২০০ শয্যায় উন্নত করনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, শিশুদের টিকাদান, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সন্তান প্রসবসহ মা ও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় মা ও শিশু মিলিয়ে ৮০০ থেকে এক হাজার  রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন, আর প্রতিমাসেই রোগী ভর্তি থাকে প্রায় সাড়ে ৪০০ মতো। প্রতিদিন মা হচ্ছেন ২৫ থেকে ৩০ নারী এর মধ্যে স্বাভাবিক প্রসবই হচ্ছে বেশী। 

এখানে ৩০ জন মেডিক্যাল অফিসার, ১০ জন কনসালটেন্ট, ৪ জন সিনিয়র কনসালটেন্টসহ সেবিকা ৩৫জন আর টেকনিশিয়ান ৪ জনসহ প্রায় ২০০ জনের মতো চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন রোগীদের।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শীত মৌসুমে সর্দি-জ্বর একটি সাধারণ রোগ। সর্দি-জ্বর দেহের শ্বাসনালির ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমণ। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়ায়। এজন্য হাসপাতালে সর্বাধিক শর্তকতা অবলম্বন করে চলছে। প্রতিদিনই মাদের কাউন্সিলিং করা হয় গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুর যত্নের ওপর। সর্দি-জ্বর হলে প্রথমে নাকে ও গলায় অস্বস্তি লাগে, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে। নাক বন্ধও থাকতে পারে। শিশুরা মুখে বলতে না পারলেও তারা তাদের অসস্থ্যি প্রকাশ করে কান্না করে এবং অনেক সময় মায়ের দুধও খেতে চায় না। তাই সর্দি-জ্বর হলে সতর্কতা অবলম্বন করুন: বিছানা, ঘর ও বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে শিশুকে রাখার কথা বলেন। তিন দিনেও যদি শিশুর জ্বর না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ইউ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম

উপদেষ্টা আসিফ, মাহফুজের সঙ্গে খলিলুরের অব্যাহতি চাইল বিএনপি

আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

প্রত্যেককেই হিসাব দিতে হবে, হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

জসীমের বিদায়, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম

বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম

জুলাই থেকে সারাদেশে এক দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনকে হয়রানি ও হুমকির তীব্র নিন্দা 

এনবিআর এখনই বিলুপ্ত হচ্ছে না: অর্থ মন্ত্রণালয়

‘চা বাগানের শ্রমিকদের কষ্টের পেছনে রয়েছে ‘পলিটিক্স’

সন্তানের মানসিক বিকাশে ‘মায়ের’ ভূমিকা

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত গ্রহণ

সাবেক মন্ত্রী আমুর খালাতো ভাই গ্রেপ্তার

আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা ইশরাকের