
ফাইল ছবি
আলঝেইমার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়া ডিমেনশিয়া রোগ, যা স্মৃতিভ্রংশ, বিভ্রান্তি ও ব্যক্তিত্ব পরিবর্তনের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নারীদের মধ্যে এর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিভিন্ন দেশে করা গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্তদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারী।
টরন্টোতে আয়োজিত আলঝেইমার অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে (AAIC) বিজ্ঞানীরা তুলে ধরেছেন কয়েকটি মূল ঝুঁকি—
-
হরমোন পরিবর্তনের সময়কাল: মাসিক শুরু, প্রজননকালীন সময়ের দৈর্ঘ্য ও মেনোপজের বয়সের সঙ্গে ঝুঁকির সরাসরি সম্পর্ক।
-
আগাম মেনোপজ: ৪০ বছরের আগে মেনোপজ হলে ঝুঁকি বেড়ে যায়, এমনকি ৪০–৪৪ বছর বয়সেও তুলনামূলক বেশি ঝুঁকি থাকে।
-
ডিম্বাশয় অপসারণ: ৫০ বছরের আগে ওভারি অপসারণ করলে আলঝেইমারের সম্ভাবনা বাড়ে।
-
গবেষণায় নারীর অনুপস্থিতি: ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকায় প্রতিরোধ পদ্ধতি ও ঝুঁকি নির্ণয়ে সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
-
সন্তান জন্মের প্রভাব: এক থেকে তিন সন্তান জন্ম দেওয়া নারীদের মধ্যে ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।
গবেষকরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ঝুঁকি শনাক্ত করা গেলে হরমোন থেরাপি, খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব।
অ্যাঞ্জেলেটা কক্স নামের এক নারী জানান, তার মায়ের ক্ষেত্রে সার্জারির মাধ্যমে আগাম মেনোপজ হওয়াই আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এখন তিনি নিজে সতর্ক এবং কমিউনিটিতে সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
"যখন এটি নারীদের প্রভাবিত করে, তখন পুরো পরিবার ও সমাজ প্রভাবিত হয়," বলেন তিনি। সিবিসি
ইউ