
ছবি: প্রতীকী
প্রচলিত একটা কথা আছে। বউ পালা আর হাতি পালা সমান কথা কিন্তু এই পুরুষ পালন নিয়ে কোন কথা নাই।
এক -অধিকাংশ পুরুষ নামক প্রানী নিজের বাথরুম তো দূর নিজের বেডরুমও পরিস্কার করতে পারেনা। এমনকি ঘুমের আগে বিছানাও ঝাড়ু দিতে পারেনা। অথচ তারা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বড়োই পছন্দ করে এবং কোথায় কোন ময়লা আছে তা-ও খুঁজে বের করতে পারে।
দুই -বলা হয়, পুরুষের মনের রাস্তায় পৌছাতে হয় পাকস্থলীর পথ ধরে। এরা খেতে পছন্দ করে কিন্তু রাঁধতে জানেনা। তিনবেলা এদের জন্য সুস্বাদু খাবার গুছিয়ে দিতে হয়। কোন কারণে রান্নার স্বাদ একটু এদিক সেদিক হলেই আর যায় কোথায়! হাজারও কথা রান্নার সময় মন কোথায় থাকে, মন দিয়ে রান্না হয়নি কেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
তিন -জামাকাপড় তো আরেক যন্ত্রণা! ধুয়ে, লন্ড্রি করে আলমারিতে রেখে দিলে তবেই তারা খুশি থাকে। অথচ জুতার মোজা কই থাকে, কয়দিন পরে, আন্ডারওয়্যার ছিড়ে ঘর মোছার ত্যানা হয়ে গেছে, সেটার হিসেবও রাখতে পারেনা। তবে শার্টটা ভালো পরিস্কার হয়নি সেটা খুব বলতে জানে।
চার -ঘুম তাদের অত্যাধিক প্রিয় বস্তু। শপিংয়ের কথা শুনলে আরও বেশী ঘুম পায়। টায়ার্ড লাগে। ছুটির দিনে ঘোরাঘুরির চাইতে ঘরে বসে ঘরে বানানো বিভিন্ন রেসিপি টেস্ট করতে ভীষণ মজা পায়।
পাঁচ - দুনিয়ার সব মেয়েকে ভালো লাগে। সবার প্রশংসা আসে শুধু ঘরে থাকা নারী ছাড়া। তার দোষ-ত্রুটি বরং বেশীই দেখা যায় ৷
আপাতত এই ৫টা কারণই যথেষ্ট যে পুরুষকে গৃহপালিত বলা যায়, বাপ, ভাই, স্বামী, বয়ফ্রেন্ড যেরুপেই দেখেন এইসব গুনাবলী অবশ্যই পাবেন। এরা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মা, বোন, বউয়ের উপর নির্ভরশীল প্রানী। বলা হয় মেয়েদের দায়িত্ব নেয় পুরুষ। আসলেই কি তাই নয় কি? এখন তো মনে হয়, এই অবলা প্রানীকে পালনের দায়িত্ব নেয় এদেশের নারীরাই।
//জ//