
ফাইল ছবি
‘‘শাবনূর মৌসুমির বিদায়ের পর আমাদের ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রির উপুর্যুপরি বেহাল দশার কিছুটা উন্নতি হয়ত হতে চলেছে। তবে শাবনূর মৌসুমির গ্রহনযোগ্যতা আজও ভিন্নরকম। বিয়ে করে শাবনূর অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী আবাস নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল মাদার। একমাত্র ছেলে আইজানকে নিয়ে শাবনূরের দিনলিপি অতিক্রান্ত হচ্ছে। শাবনূরকে তার লাখো ভক্ত প্রতিনিয়ত স্মরণ করছে। মৌসুমি বলতে গেলে চলচ্চিত্র থেকে সরে গেছেন। মৌসুমির তারকা খ্যাতির মানদণ্ড অনেক উঁচুতে। অভিনয় থেকে অনেকটা দূরে সরে গেছেন তিনি। গত বছর মৌসুমি ওমর সানির ব্যক্তিগত এবং অনভিপ্রেত একটি ইস্যু সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ওমর সানির সরব হওয়া ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। উনার অপ্রত্যাশিত ভূমিকার কারণে মৌসুমির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। চার দেয়ালের ভেতরের ইস্যু পাবলিকের কাছে মুখরোচক করে দেয়ার কারণে মৌসুমির ভক্তদের হৃদয়ে আঘাত লেগেছে। ত্রিশ বছর ধরে চিত্রজগতে টিকে আছেন মৌসুমি। এটা যেনতেন ব্যাপার নয়। কেয়ামত থেকে কেয়ামত, খাইরুন সুন্দরীর মৌসুমিকে মানুষ বহুকাল মনে রাখবে। ব্যক্তিগত গত বছরে ঘটে যাওয়া সেই ব্যক্তিগত ইস্যুটি মৌসুমির ইমেজে কিছুটা আঁচড় খামচি তো দিয়েছেই। শেষে ব্যাপারটা "সেই তো নথ খসালি তবে কেন লোক হাসালি"- আদলে সমাধান হয়েছে। আসলে চার দেয়ালের ভেতরে বহু ঘটনা ঘটে যায়। এগুলো ফলাও করে প্রচার করতে হয়না।’
‘অন্দরমহলে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে জনসম্মুখে প্রকাশ করা কোনো বুদ্ধিমত্তার কাজ ছিলনা। এটা ওমর সানি হয়ত অনেক দেরিতে অনুধাবন করেছেন। একশোজন মিডিয়া কর্মী চিৎকার চেঁচামেচি করে বললেও যা সত্য বলে বিবেচিত হবেনা, সেটা একজন ওমর সানি বললেই সত্যি বলে বিবেচিত হয়ে যায়। সে সময় মৌসুমির ভক্তরা চরম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছিল। বিষয়টা খুব সেনসেটিভ ছিল। আমার দৃষ্টিতে মৌসুমি একজন উচ্চমার্গীয় অভিনেত্রী। এত সুন্দর যার ক্যারিয়ার, সেই মৌসুমিকে যখন সস্তা টিকটিকে অংশ নিতে দেখি তখন খুব আহত হই। "রূপবান নাচে কোমর দুলাইয়া" এবং "তোর প্রেমে পড়ার কারণ তোর শ্যামলা শ্যামলা বরণ" এই টাইপের হুজুগে সস্তা গানের সাথে মৌসুমি যখন টিকটক করেন তখন হতভম্ব হয়ে যাই। মৌসুমির মত ক্ষমতাধর জাত অভিনেত্রীর মন মানসিকতার একি দৈন্যদশা? মৌসুমিকে 'সি গ্রেডের' অভিনেত্রীদের মত যা তা গানের সাথে টিকটক করা লাগবে কেন? টিকটকীয় সস্তা জনপ্রিয়তা খুব কি দরকার মৌসুমির?? কেয়ামত থেকে কেয়ামতের সেই রঙিন প্রজাপতি মৌসুমির সাথে থার্ডক্লাস টিকটকের এই মৌসুমিকে কোনো দিক থেকেই মেলাতে পারিনা। টিকটকে কেন তিনি নিজেকে বিলীন করে দিচ্ছেন সেটাও বুঝতে পারিনা। মৌসুমি তার ভক্তদের কথা চিন্তা করে এইসব নিন্মমানের গানের সাথে ঠোঁট মেলানো এবং চামেলি মার্কা ভাবভণিতা প্রদর্শন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন এটাই প্রত্যাশা।’’
মিলি সুলতানার ফেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্ট থেকে সংগৃহীত…