ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, , ২১ আগস্ট ২০২৫

English

ফেসবুক থেকে

‘ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে এখনও গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়’

উইমেনআই২৪ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ১৬ জুন ২০২৫

‘ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে এখনও গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়’

সংগৃহীত ছবি

ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে দেশের গণমাধ্যম এখনও পুরোপুরি মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস। এদিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব দল বাতিল করে চরম কর্তৃত্ববাদী একদলীয় বাকশাল কায়েম করে তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিল। ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মী বেকার হয়ে পড়েছিল। তাদের রুজি-রোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়া হয়। 

তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। চিরায়ত গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় এবং যার মূল শর্ত হচ্ছে বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকায় রাষ্ট্র ও সমাজ জবাবদিহিতার আওতায় আসে এবং দেশের সরকার গঠনে নাগরিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে স্তব্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে। 

বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, পরবর্তীকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তন করেন। বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুন:প্রতিষ্ঠিত করেন।

তিনি লিখেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ মূলত চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার মেয়ে শেখ হাসিনাও একই পথ ধরে তাদের প্রকৃত দর্শন একদলীয় ব্যবস্থার পুন:প্রবর্তন করেছিল নতুন আঙ্গিকে। নানা কালাকানুন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালিয়েছে তারা। 

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল জানিয়ে তারেক রহমান আরও লিখেছেন, সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ।  বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীসহ সব পর্যায়ের মানুষকে সার্বক্ষণিক শংকিত থাকতে হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো একের পর এক ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’ প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দী করা হয়েছিল। 

তিনি লিখেছেন, বিগত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করলেও এখনও ফ্যাসিবাদ শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়।

সবশেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।  
 

//এল//

‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি’

ইতিহাসের ওপর মব আক্রমণ চলছে: সারা হোসেন

ইমরান খানকে ৮ মামলায় জামিন দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট

ফের সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরা

জাতিসংঘের জুলাই গণহত্যা প্রতিবেদন ঐতিহাসিক দলিল

গণঅভ্যুত্থানের ২৬ মামলার চার্জশিট দাখিল

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি চলছে: আসিফ ভূঁইয়া

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ ভারতের

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ

৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ

‘নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত’

আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জয়

১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে ইসি

নোয়াখালীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

দক্ষিণ-পশ্চিমে জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও জীবিকার বর্তমান চিত্র