
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
কানাডার টরন্টোতে ‘রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা কানাডা’ আয়োজিত ‘জীবনে আমার যত আনন্দ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পী দর্শকদের অভ্যর্থনা জানান রবীন্দ্রনাথের একটি জনপ্রিয় ব্রতসংগীতে—‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’। এর পর একে একে গাওয়া হয় প্রেম, প্রকৃতি, ভক্তি ও বিচ্ছেদপর্বের নানা গান—প্রতিটি গানে ছিল পরিমিত আবেগ, নিখুঁত উচ্চারণ ও গায়কীর অপার নৈপুণ্য।
হলভর্তি দর্শক কেউ চোখ বন্ধ করে শুনেছেন, কেউ আবার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে গেয়ে উঠেছেন শিল্পীর সঙ্গে। বহুদিন পর কানাডার মঞ্চে এমন নিবিড়, হৃদয়গ্রাহী ও পরিপূর্ণ একটি রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন শ্রোতারা।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একটানা গান গাওয়ার পরেও শিল্পীর কণ্ঠে ক্লান্তির লেশমাত্র ছিল না। “আমার মুক্তি আলোয় আলোয়”, “তুমি রবে নিরবে”, “আকাশ ভরা সূর্য-তারা, প্রতিটি পরিবেশনায় ছিল শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও অধ্যবসায়ের মূর্ত অভিব্যক্তি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সভাপতি চিত্রা সরকার। তিনি বলেন, কানাডায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের চর্চা ও প্রজন্মান্তরে এর বিস্তারই তাঁদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। এ ধরনের আয়োজন আগামী দিনেও চলবে বলে জানান তিনি। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানর সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠান শেষে দর্শকদের চোখেমুখে ছিল গভীর তৃপ্তি ও আবেগ।
এ ধরনের সংগীত সন্ধ্যা শুধু বিনোদন নয়, বরং আত্মিক ও সাংস্কৃতিক চেতনার পুনর্জাগরণ। ফাহিম হোসেন চৌধুরীর অনবদ্য কণ্ঠ ও গায়কী আজকের সন্ধ্যাকে এক স্মরণীয় অধ্যায়ে পরিণত করল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাশেদা মুনির। শিল্পী কে তবলায় সহযোগিতা করেন চিন্ময় কর ও কীবোর্ড এ সহযোগিতা করেন রুপতনু শর্মা । হলভর্তি দর্শক মুগ্ধ হয়ে শোনেন শিল্পীর পরিবেশনা।
ইউ