
সংগৃহীত ছবি
টরন্টো সাউথ ওয়েষ্ট এর তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত এম পি পি ডলি বেগম জানিয়েছেন কমিউনিটি উননয়নে তাঁর প্রতিশ্রুত কাজ গুলো ইতিমধ্যেই করতে শুরু করেছেন। তিনি কানাডার স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার টরন্টো ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত নিয়মিত অতিথি আড্ডা আয়োজনে এ কথা বলেন।
আলোচনায় তিনি কমিউনিটির মানুষের জন্য সেবা কেন্দ্র, বাসস্থান. নতুন প্রজন্ম কে নিয়ে ক্রিয়েটিভ কাজ, স্বাস্থ্যসেবা, বয়স্ক ভাতা, স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য বিশেষ সুবিধার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি স্কারবোরোর মানুষের জীবনকে আরও উন্নত করতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন বলে জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিকে স্বাগত জানান মৈত্রেয়ী দেবী। অতিথিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান টরন্টো ফিল্ম ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টরন্টো ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিস রফিক।
উল্লেখ্য অন্টারিওর ৪৪তম সংসদ নির্বাচনে টরন্টোর স্কারবরো সাউথওয়েস্ট নির্বাচনী আসন থেকে নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির প্রার্থীতায় তৃতীয়বারের মত জয়ী হয়েছিলেন ডলি বেগম।
তিনি ২০১৮ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রথম এবং ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। কানাডার তিন স্তরের সরকার পদ্ধতির কোনো আইন পরিষদে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নিউ ডেমোক্র্যাট।
উল্লেখ্য, ডলি বেগম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে শিশু বয়সে কানাডায় অভিবাসী হন এবং স্কারবরোতে স্থায়ী হন। তিনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় (ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন, প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনীতিতে আসার আগে, ডলি প্রদেশব্যাপী কিপ হাইড্রো পাবলিক প্রচারণার প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন যা সফলভাবে টরন্টো হাইড্রো এবং ওয়াসাগা ডিস্ট্রিবিউশনের বেসরকারিকরণ বন্ধ করে দেয়। তিনি স্কারবোরো হেলথ কোয়ালিশনের প্রাক্তন কো-চেয়ার এবং ওয়ার্ডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-চেয়ার।
নতুন আসা অভিবাসী ও কমিউনিটির প্রতি আন্তরিকতাই ডলি বেগমের সাফল্য এনে দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইতিমধ্যেই তিনি নাগরিকদের সমস্যা, বাংলাদেশি কমিউনিটির সমস্যা এবং জনস্বার্থ নিয়ে কাজ করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
//এল//