ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪

English

এক্সক্লুসিভ

সার তৈরি করে স্বাবলম্বী এক গ্রামের কয়েকশ নারী

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; আপডেট: ১৯:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সার তৈরি করে স্বাবলম্বী এক গ্রামের কয়েকশ নারী

সংগৃহীত ছবি

সংসারের কাজ করে দিন পার করতেন নারীরা। ছিল না আয়ের কোনো সুযোগ। সেই নারীরা এখন পরিবারে আর্থিকভাবে অবদান রাখছেন। স্বামীর পাশাপাশি বাড়তি আয় যোগ হওয়ায় পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। এ জন্য নারীদের হাটবাজার-কারখানায় যেতে হচ্ছে না। বাড়ির আঙিনায় বা ঘরের পেছনের পরিত্যক্ত জমিতে রিং বসিয়ে সহজেই তৈরি করছেন ভার্মি কমপোস্ট বা কেঁচো সার। এটিই তাদের ভাগ্যবদলের হাতিয়ার।

সেই সারের পুষ্টিতে মাঠে হাসে সবুজ ফসল। এই সার তারা তৈরি করে বাজারজাতের পাশাপাশি নিজেরা বাগানে প্রয়োগ করেন। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৩ নম্বর দূর্গাপুর ইউনিয়নের বড়আলমপুর গ্রামের নারীদের জীবন সংগ্রামে জয়ী হওয়ার চিত্র এটি। এই গ্রামের ২৫০ টি পরিবারের ২৭০ জন নারী ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। সার বিক্রির টাকায় নিজের খরচ চালানোর পাশাপাশি সংসারের সমৃদ্ধি আনছেন।

বড় আলমপুর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, নারীরা ব্যস্ত ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরিতে। দূরদূরান্ত থেকে কৃষকরা আসছেন। তারা প্রতি কেজি কমপোস্ট ১৫-২০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। রাসায়সিক সারের চেয়ে ভার্মি কমপোস্ট পরিবেশবান্ধব এবং বেশী ফসল উৎপাদন হয় বলে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।


বড় আলমপুর গ্রামের নারীরা জানান, এক মাসের স্তূপ করে রাখা গোবর খেয়ে কেঁচো মল ত্যাগ করে এবং এর সঙ্গে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে যে সার তৈরি হয় সেটাই মূলত ভার্মি কম্পোস্ট সার। এটি সহজ একটি পদ্ধতি। এ সার সব ধরনের ফসলের ক্ষেতে ব্যবহার করা যায়। এ সার মাটির পানি ধারণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বায়ু চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।

ঘরে বসে বিপুল আয় করছেন এক গ্রামের কয়েকশ নারী
কুমড়াক্ষেতে ফলবে কলা, ভুট্টায় কৌশলি চরাঞ্চলের চাষি
রানু আক্তার, সালেহা বেগম ও সেলিনা আক্তার জানান, তারা ছয় বছর আগে বাংলাদেশ একাডেমিক ফররুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তৈরি করছেন ভার্মি কমপোস্ট সার। সাংসারিক কাজের অবসরে তারা এই সার তৈরি ও বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কেঁচো থেকে তৈরি হয় বলে প্রথমে অনেকেই নাক সিটকাতো। এখন সবাই এই সার তৈরি ও বিক্রি করছেন। পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকে কৃষকরা এসে ভার্মি কমপোস্ট সার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভার্মি সার তৈরিতে যে কোঁচো ব্যবহার করা হয় সেই কেঁচো তারা বিক্রি করেন হাজার টাকা কেজি দরে।

কৃষক হারুন মিয়া বলেন, ভার্মি কমপোস্ট সার ব্যবহারে গাছের পাতাকাণ্ড বৃদ্ধিসহ ফলন বৃদ্ধি পায়। এই সারের উৎপাদিত ফসল বেশি সবুজ হয়।

বড় আলমপুরসহ আশপাশের গ্রামে নারীদের ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরি ও ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমেনা খাতুন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি ঘুরে নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি।

আমেনা খাতুন বলেন, আমার কর্ম এলাকায় অন্তত ১০ হেক্টর জমিতে সবুজ শাকসবজি উৎপাদন হয়। যার মধ্যে ৭ হেক্টর জমিতেই ভার্মি কমপোস্ট ব্যবহার করে কৃষকরা।

//এল//

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটের মৃত্যু

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

মিস ইউএসএ খেতাব ফিরিয়ে দিলেন নোয়েলিয়া ভয়েট

সোহেল চৌধুরী হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন

কমলাকান্দায় নির্বাচনে হেরে বিজয়ী কর্মীদের ওপর হামলা

সন্ধ্যায় ঝড়ের পূর্বাভাস

নাসিরনগরে প্রথম নারী চেয়ারম্যান রোমা

শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

চলচ্চিত্র প্রযোজক মাহমুদ রুহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

অফিসের চাপ সামলে থাকুন থাকুন ফুরফুরে 

রণবীর-দীপিকার বিচ্ছেদের গুঞ্জন

জিডি করেছেন বুবলী 

ইসরাইলকে হুমকি দিলেন বাইডেন

কর্ণফুলীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত