
উইমেনআই২৪ প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন আমরা বাংলাদেশ প্রশ্নের একটি রাজনৈতিক সমাধান বলতে একমাত্র ‘স্বাধীনতা’ বুঝি। আমরা বিশ্বাস করি, বাঙালি একদিন স্বাধীনতা লাভ করবে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা ও স্বীকৃতি পাবে। কেননা, তারা ন্যায় ও সত্যের জন্য লড়াই করছে বলে বলেছিলেন,ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম নয়াদিল্লীতে ।

চট্টগ্রামের রাধানগর তহসিল অফিস উড়িয়ে দিয়ে মোকাসিয়া পাক-প্রতিরক্ষা অবস্থানের উপরও আকস্মিক আক্রমণ চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। এলএমজি ও মেশিনগানসহ পাহারারত পাকসেনাদের অবস্থানকে পরোয়া না করে ছাগলনাইয়া-বিলোনিয়ার মধ্যবর্তী একটি সেতু উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় গেরিলারা।
ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার বিদ্যাকোটের কাছে পাকসেনারা কয়েকটি নৌকাযোগে টহলকালে মুক্তিসেনাদের আক্রমণের মুখে পড়ে, এতে ৪টি নৌকা ডুবে যায় এবং কয়েকটি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ আক্রমণে বেশ কিছু পাকসেনা হতাহত হয়। কাদেরিয়া বাহিনী ভুয়াপুর থানায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা ভুয়াপুর থানা শত্রুমুক্ত করে। এখানে ৭০/৮০ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে। যুদ্ধে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন।
২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ক্যাপ্টেন গাফফারের নেতৃত্বে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশন দখলের পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকসেনা ঘাঁটি বড়দাসুয়া, চাঁদলা, কায়েমপুর এবং গোবিন্দপুর আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর নায়েব সুবেদার সিরাজ, সুবেদার মঙ্গল মিয়া এবং সুবেদার বেলায়েত স্ব-স্ব প্লাটুন নিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক সামনে রেখে পূর্ব দিকে অবস্থান নেন।
রাজশাহীর মাগুরাপাড়ায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক সফল অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৩ জন পাকসৈন্য ও ৪ জন পাকপুলিশ নিহত হয়। দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের মোগলহাটে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। ডা. এ এম মালিক তার মন্ত্রী সভায় আরো তিনজন মন্ত্রী অন্তর্ভূক্ত করেন। নতুন মন্ত্রীরা হচ্ছেন, পিডিপি-র এ কে মোশারফ হোসেন, জসিমউদ্দিন আহমদ ও মুসলিম (কাইয়ুম) লীগের এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
বিশ্ব ব্যাংকের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি শিগোমটস্থ কারিয়ামা খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। লে. জেনারেল নিয়াজী সৈয়দপুরের নবনির্মিত বিমান ঘাঁটির উদ্বোধন করেন। বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে নিয়াজী বলেন, ‘যারা ভাষাভিত্তিক প্রশ্ন তুলে আমাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করতে চায় তারা পাকিস্তানের শত্রু। আমরা ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জাতি হিসেবে টিকে থাকবো এবং শত্রুর দুরভিসন্ধি নস্যাৎ করে দেবো। সিরিয়ার প্রতিনিধি জাতিসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘ সিরিয়া পাকিস্তানের ঐক্য রক্ষা এবং পূর্ব পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখতে আগ্রহী।’
উইমেনআই২৪//এলআরবি//