ফাইল ছবি
কারাগারে পিতা এবং ভাইকে দেখতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা অস্ত্র ঠেকিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ছয় জনের বিরুদ্ধেবালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার ) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেলছাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে কারাগারে থাকা পিতা এবং ভাইকে দেখার উদ্দেশ্যে রওনা হয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মোড় থেকে একটি থ্রি-হুইলার যোগে রওনা হলে তার পাশে চেঁপে বসেন কয়েক জন যুবক।
চলন্ত যানে মেয়েটিকে ছুরি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে শহর ঘুরে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন জায়গায়। পরে সেখানে শারীরিক নির্যানের পর পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে মেয়েটি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে দুর্বৃত্তরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ঠাকুরগাঁও সদরের শ্রী কৃষ্টপুর ইক্ষু খামার এলাকায় রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে ত্রিপল নাইনে কল করে। খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে রক্তাত্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভিকটিমের অভিযোগ, গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তার পিতা এবং ভাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের হোসেন । গত শুক্রবার দুপুরে ভিকটিম তার বাবা এবং ভাইকে কারাগারে দেখতে যায়। সিএনজি যোগে যাওয়ার সময় পথেই চলন্ত অবস্থায় ৫-৬ জন যুবক গাড়িতে উঠে বসে তার পাশে। এসময় তার গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে অপহরণ করে কোন এক নির্জন এলাকায় নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
ঘটনার ৩ দিনপর গত ১২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ভিকটিমের মা-বাদী হয়ে ৬ ধর্ষকের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বেলছাড়া গ্রামের বাসিন্দা-বাবলুর রহমান, আসলাম আলী, আবু তালেব সহ আরো অজ্ঞাত নামা তিনজন একই এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম। তিনি বলেন, ‘ভিকটিমের-মা তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।’
ইউ