
ফাইল ছবি
নারীদের জন্য অন্তত ৩৩ শতাংশ আসনে সরাসরি নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের মোট মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারীপ্রার্থীর দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ।
শনিবার (২ জুলাই) এক বিবৃতিতে নারীপক্ষ এ দাবি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বশেষ জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আর পিও) অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ আসনে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের একটি বিধান ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েও এই বিধান কার্যকর হয়নি।
নির্বাচন সংস্কার কমিশন নারীদের জন্য সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ১০০টি অতিরিক্ত আসনের প্রস্তাব দিয়েছে। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ৫০ শতাংশ সাধারণ ও নারী আসনের প্রস্তাব দিয়েছে এবং উভয় ক্ষেত্রেই সরাসরি নির্বাচন নিশ্চিত করার কথা বলেছে।
আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তথাকথিত ঐকমত্য আনার জন্য নানারকম আপোস করা হচ্ছে, অথচ এই সিদ্ধান্ত যাদের জন্য বা যাদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে সেই নারীদের সাথে কোনোরকম পরামর্শ করা বা মতামত নেওয়া হয়নি! উল্লেখ্য, ঐকমত্য কমিশনে কোনো নারী সদস্য নেই।
আমরা ঐকমত্য কমিশনের এই একপেশে, পক্ষপাতদুষ্ট, বৈষম্যপূর্ণ, অ-গণতান্ত্রিক ও নারীবিদ্বেষী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি। সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নারী এবং ভোটারদেরও অর্ধেক নারী। তারা যদি সংসদে যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব না পান তাহলে গণতন্ত্র শুধু একটি ফাঁপা প্রতিশ্রুতিতেই পরিণত হবে।
নারী আন্দোলন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি, যাতে তারা পুরুষ সংসদ সদস্যদের মতোই সম্মান, মর্যাদা, দায়িত্ব ও ক্ষমতা লাভ করতে পারে। বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব প্রদানের দক্ষতা ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং এর প্রমাণ রেখেছে।
২০২৪ সালের আগস্টে বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গঠনের জন্য কাঠামোগত পরিবর্তন আনার যে প্রতিশ্রুতি ছিল আমরা সেই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রাখতে চাই। আমরা মনে করি, এখনই সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবানের উপযুক্ত সময়।
ইউ