
ছবি: মহিলা পরিষদের লোগো...
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণসহ দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
২৪ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের বরাতে বলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা একজন দিনমজুর। ২২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল থেকে টানা বৃষ্টি এবং দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়া চলাকালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে বসতঘরে একা পেয়ে একই গ্রামের মোক্তার হোসেন মৃধা ও তার সহযোগীরা মিলে ওই তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা বাদী হয়ে দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী, তরুণী ও কন্যাশিশুদের দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার বখাটেদের দ্বারা নারী ও কন্যাশিশুদের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী তরুণীরাও দলবদ্ধ ধর্ষণের মত নৃশংস সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সংঘটিত এসব ঘটনায় নারী ও কন্যারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তাদের স্বাধীন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং তাদের অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনটি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের প্রতি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউ