
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বসুন্ধরা এনজিওর মালিকের সাজানো মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আসামি ও গ্রাহকদের পরিবার।
সোমবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কাগমারি গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন ও মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামলার আসামি শাহবাজপুর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য গাজলুর রহমান বলেন, ‘গত ৮ মে বসুন্ধরা এনজিও মালিক আবু তাহের কে গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দেয়ায় তারা তাকে আটক করে আটকে রাখে। সংবাদ পেয়ে ইউপি সদস্য হিসাবে শান্তি কামনায় উপস্থিত হয়ে ৪নং ওয়ার্ড সদস্য তোজাম্মেল হক ও ইউপি চেয়ারম্যান, বিট পুলিশের অফিসার এস আই পিয়ারুল ইসলামকে জানাই। তারপর আমার আত্মীয়ের মৃত্যু ঘটে এবং জানাজার পড়তে চলে যাই। বিকাল পাঁচটায় আবারো আমি সেখানে গিয়ে পুলিশ অফিসার, স্থানীয় লোকজন, দুইজন ইউপি সদস্য ও এনজিও মালিক আবু তাহেরসহ সবাই মিলে সিন্ধান্ত নিই গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে আলোচনা করে সমাধান করার। সেই অনুযায়ী দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, আবু তাহের লোক সেই চুক্তি ভঙ্গ করে আমি, এনজিও গ্রাহক শামীম, তৌহিদ, জাহাঙ্গীর অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় এজাহার করেছে। এজাহারের পর আমিসহ এনজিও গ্রাহকগণ চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছি। যা একজন ইউপি সদস্যের জন্য মর্যাদা হানিকর। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিশৃংখলঅ রোধে এগিয়ে যাওয়ায় ৮ মে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্নতা করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমি ঘটনা সঙ্গে জড়িত নই, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক নায্য বিচার দাবি করছি।’
বসুন্ধরা এনজিও মালিক আবু তাহের বলেন, ‘গত ৮ মে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্য। গাজলুর রহমানের নেতৃত্বে আমাকে মারধর করেছে। তাই আমি মামলা করেছি।’
এসআই পিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গাজলুর রহমানকে কোন ধরনের হয়রানি করিনি। মামলার জন্য এজাহার দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইউ