
ছবি সংগৃহীত
বৈশ্বিক উষ্ণতা যত বেড়েছে চলেছে। নেতিবাচক প্রভাবে পরিবেশের ওপরও এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় যখন বিশ্বনেতারা কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন ঠিক তখনই জলবায়ু বিপর্যয় নিয়ে ভয়াবহ তথ্য সামনে নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, যদি এভাবেই পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকে তাহলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই ব্যাপক পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে বিশ্ব।
উইয়ন নিউজে ‘গ্লোবাল টিপিং পয়েন্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানীর সমন্বিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যা যেকোনো সময় বিপজ্জনক ‘ডমিনো ইফেক্ট’ বা পরিবেশগত বিপর্যয় করতে পারে। আর তা হলে জনজীবন হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫টি ভয়াবহ বিপর্যয় আমাদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা প্রাক্-শিল্পযুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখা না গেলে আরো তিনটি বিপর্যয় অতি দ্রুতগতিতে আঘাত হানবে।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের টিম লেনটন বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে এবং এমন সব লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, যা মানবজাতি আগে কখনো দেখেনি।’
টিপিং পয়েন্ট হলো এমন এক অবস্থা, যে ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় প্রকাশিত হওয়ার আগে ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয়।
টিম লেনটন বলছেন, পৃথিবী এখন যে টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে, সেগুলো এমন হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, যা মানব ইতিহাসে কখনো দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে ‘ডমিনো ইফেক্ট’ ঘটাতে পারে। এর ফলে পুরো পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। এর সামাজিক প্রভাব হিসেবে গণবাস্তুচ্যুতি দেখা দিতে পারে অর্থাৎ দুর্যোগের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হতে পারে। দেশে দেশে রাজনৈতিক ও আর্থিক বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস জলবায়ু পরিবর্তনের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের ইতিহাসে ২০২৩ সাল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।
ইউ