ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ৩০ মে ২০২৫

English

জাতীয়

চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে তাণ্ডব

আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়লেন চিকিৎসক ও রোগীরা

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২৮ মে ২০২৫

চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে তাণ্ডব

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৮ মে) সকালে হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে রোগীদের স্বজন ও জুলাই আন্দোলনে আহতদের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত হয়। ঘটনার জেরে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সকালে চারজন জুলাই আহত রোগীর বিষপানের ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষপানের পর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি, হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমনকি হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

পরিস্থিতির প্রতিবাদে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে বিপাকে পড়েন আগত রোগীরা। শিডিউল অনুযায়ী অস্ত্রোপচার স্থগিত হয় এবং আউটডোর সেবা বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ চালু রাখা হয়।

এ অবস্থায় সকালে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্মীদের বাগবিতণ্ডা থেকে ধাক্কাধাক্কি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে জুলাই আহতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় যোগ দেন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর) থেকে আসা আরও কিছু আহতরাও তাণ্ডবে অংশ নেন।

ঘটনার সময় চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা মিজান মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একজন সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহীদুল ইসলামও হামলার শিকার হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও কর্মী, যাদের মধ্যে ডা. জাহিদ, ডা. আরাফাত এবং ডা. তিষাদুর উল্লেখযোগ্য।

হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে তালা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। তবে জুলাই আহতরা ওয়ার্ডের কলাপসিবল গেট ভেঙে চিকিৎসক ও রোগীদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জুলাই আন্দোলনে আহত সালমান জাগো নিউজকে জানান, ‘কয়েকদিন ধরেই সমস্যার সূত্রপাত। বিষপান করা আহতদের নিয়ে আলোচনা করতে পরিচালক কক্ষে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিচালককে বের করে নিয়ে যান।’

বেলা ১টা নাগাদ হাসপাতালের সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। প্রধান গেটও বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক জানান, বর্তমানে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অবরুদ্ধ চিকিৎসক ও নার্সদের মুক্ত করা হয়েছে। জুলাই আহতরাও এখন হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী ও কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল আহতদের ঘিরে এমন পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউ

নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ হতে পারে যত টাকা

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো ফিশিং ভেসেল স্কিপারদের সেমিনার

৬৯৫ ইটভাটা বন্ধ, ২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার জরিমানা

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের দাবি 

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা 

ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত

হঠাৎ বিস্ফোরক মন্তব্য তাসনিম জারার

ইশরাক ইস্যুতে যা বললেন সিইসি

সিলেট নয়, ঢাকাতেই হবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে পিছু হটবো না: খালেদা জিয়া

১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, সতর্ক সংকেত

ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: তারেক রহমান

চিকিৎসক নিয়োগে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত

‘দুষ্টের দমন করে শিষ্টের প্রতিপালন করা রাষ্ট্রের নীতি হওয়া উচিত’