
‘শয়তানের উপাসনালয়’
আক্ষরিক নাম ‘স্যাটানিক টেম্পল’ বা ‘শয়তানের মন্দির’ বা ‘শয়তানের উপাসনালয়’। সবার কাছেই বিস্ময়ের ব্যাপার হলেও বিষয়টি সত্যি। খোদ আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘শয়তানের উপাসনালয়’।
সিএনএন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা পেনি লেন নির্মিত ‘হেইল শয়তান’ নামক একটি তথ্যচিত্র এবং তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ঘেঁটে জানা যায়, স্যাটানিজম বা শয়তানবাদ মূলত মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাতকারী শয়তানের উপাসনা, ভক্তি ও প্রশংসা বোঝানো হয়ে থাকে। খুব বেশি দিন আগে নয়, গত শতকের সত্তরের দশকের শুরুতে শয়তানের উপাসক দলগুলোকে গুপ্ত ও অবৈধ মনে করা হতো। আধুনিক শয়তানবাদ প্রথম সবার নজরে আসে ১৯৬৬ সালে চার্চ অব স্যাটান বা শয়তানের গির্জা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ১৯৬৬ সালের ৩০ এপ্রিল এন্টন স্যান্ডর ল্যাভি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সানফ্রন্সিসকোতে নিজ বাড়িতে শয়তানের গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন।
‘শয়তানের উপাসনালয়’র সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং মুখপাত্র লুসিয়ান গ্রিভস বলেন, ‘এটি আমাদের প্রাথমিক অনুষ্ঠানের কক্ষ। আমরা, শয়তানের মন্দিরের সদস্যরা সপ্তাহে একবার এখানে জড়ো হই।’ একটি প্রশ্নের জবাবে লুসিয়ান গ্রিভস বলেন, ‘শয়তানের উপাসনালয়ের সদস্যরা মূর্তিটি পবিত্র মনে করে না। ‘আধ্যাত্মিক’ বা ‘পবিত্র’ এই শব্দগুলো আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমরা কোনো অতিপ্রাকৃতিক বিশ্বাস লালন করি না। আমরা মূলত একটি নিরীশ্বরবাদী ধর্ম। আমাদের কোনো ঈশ্বর নেই। আমরা কোনো কিছুর অতিপ্রাকৃতিক ব্যাখ্যা দিই না বা সেসব গ্রহণও করি না।
গ্রিভস আরো স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পুরাণ ও সাহিত্যে যে শয়তানের কথা বলা হয় সেটাকে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহী প্রতীক বা চরিত্র হিসেবে বিবেচনা করি। আর এ কারণেই আমরা শয়তানের উপাসনা করি না বরং এই উপাসনার ধারণাটাই, যারা নিজেদের শয়তানবাদের সদস্যদের জন্য অপমানজনক একটা বিষয়। কারণ উপাসনা মানেই হচ্ছে অন্যের দাসত্ব। আর আমাদের শয়তানবাদের মূল কথা হলো ব্যক্তিগত সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং ইচ্ছার স্বাধীনতা।’
//এল//