ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ০৯ মে ২০২৫

English

মতামত

আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে নিউজ করা হয়েছে

অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন:

প্রকাশিত: ১১:০২, ৯ আগস্ট ২০২৩

আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে নিউজ করা হয়েছে

কুবি উপাচার্য : অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন

কয়েকটি মিডিয়া সম্প্রতি আমার একটি বক্তব্য বিকৃত করে একটি নিউজ করেছে। আমি দৃঢ়তার সাথে বলি যে নিউজটি আমার বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ কে রং লাগিয়ে আমার ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
 প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে যে আমি নুতন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে  বলেছি যে মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে তাদেরকে  critical thinking development এর প্রতি জোড় দিতে হবে, তাদের cognitive skill বাড়াতে হবে, এবং তাদের artificial learning এর পরিবর্তে authentic learning করতে  হবে। এখানে critical thinking কিভাবে করে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে ধরণের প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক রয়েছে বা তার বিপরীত theory কি হতে পারে তা বলেছি। এখানে কোনোভাবেই “দুর্নীতি হচ্ছে বলে বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে” তা বলিনি।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সাথে জড়িত একজন শিক্ষার্থী আমি যে উদাহরণ দিয়েছি তার আগে-পরের অংশ কেটে আমার খণ্ডিত অংশ বিকৃত করে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমাকে হেয় করার জন্য উদ্দীপক হেডলাইন দিয়ে প্রথমে তাদের ফেইসবুকে শেয়ার করে। আমি প্রতিবাদ করলে তাদের পেজ থেকে নিউজটি ঠিক হয়নি বলে তারা নামিয়ে নেয়। কিন্ত তারা যায় যায় দিন পত্রিকার যে পোর্টাল এ নিউজ করে তা সরায় নাই l বরং মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বানানো হেডলাইন  “দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে : কুবি উপাচার্য” এই সাংবাদিক সমিতি বিভিন্ন পোর্টাল এ ভাইরাল করে।

 তারা এই হেডলাইন ও খণ্ডিত অংশ ব্যবহার করে কিছু মানুষের (যাদেরকে সমাজের দায়িত্বশীল বলে মনে করা হয় (যেমন TIB এর ইফতেখারুজ্জামান, টিভি ব্যাক্তিত্ব ইশতিয়াক রেজা) তাদের দ্বারা মন্তব্য করিয়ে তাদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে করা নিউজটির গ্রহযোগ্যতা বৃদ্ধির অপচেষ্টা চালানো হয়।একটি খণ্ডিত অংশ শুনে আমার কাছে আমি এই ধরণের কথা বলেছি কিনা তা যাচাই না করে ঐ সকল ব্যক্তিবর্গ এমন মন্তব্য করতে পারেন কিনা, তার কোনো সন্তোষজনক জবাব না দিলেও আমি এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট পাঠাই। আমি প্রশ্ন করি কোনো শিক্ষক দুর্নীতিকে প্রোমোট করতে পারে কিনা, এমনকি যে পৃথিবীর বড় দুর্নীতিবাজ সেও কি একটি পাবলিক সভায় এমন কথা বলবে কিনা!

আমি ভিসি হলেও আমি একজন  শিক্ষক, এবং আমি তাই আমার বক্তৃতা একাডেমিক ভাবে দেয়ার চেষ্টা করি, এবং শিক্ষার্থীরা এভাবে উপকৃত হয় এবং তারা  আমার বক্তৃতা appreciate করে। ঐ দিনের বক্তৃতাতে ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু  আমার বক্তৃতায় যে শিক্ষার্থীদের critical thinking, authentic learning, analytical ability, cognition বৃদ্ধির জন্য যে জোর দেওয়া হলো, তার প্রতি কোনো গুরুত্ব না দিয়ে তাত্ত্বিক ভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যে উদাহরণ দেওয়া হলো তার খণ্ডিত অংশ প্রচার কেন করা হলো - তা যার বিন্দুমাত্র শিক্ষা আছে তার ও বুঝতে না পারার কথা নয়। আমার উদাহরণ দেয়ার পরে শিক্ষার্থীদের এমনকি এ ও বলেছি যে উদাহরণটি শুধুমাত্র তাদের critical thinking কিভাবে করতে হয় তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই দুর্নীতি  promote করার জন্য বলা হয়নি। সংবাদে এই অংশ ও তারা প্রকাশ করেনি, আর আমি কোথাও বলিনি যে দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে।

My questions:
বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে এসে একজন শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীদের সাথে মুক্ত আলোচনাও করতে পারবেন না? এই বিকৃত হেডলাইন এর উপর মন্তব্য করে সমাজের দায়িত্বশীল কতিপয় ব্যক্তি যারা মনে করেন যে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু মুখস্ত বিদ্যার জায়গা এবং এখানে ক্রিটিকাল থিংকিং ও অথেন্টিক লার্নিং প্রাকটিস এর মাদ্ধমে তাদের মুক্ত চিন্তা ও মেধার বিকাশ ঘটানো হয়না, তারা এর উত্তরণে শুধু আরো একটি বাধা সৃষ্টি করলেন।

এই শিক্ষার্থী এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মনগড়া ও মিথ্যা নিউজ করে বিশ্ববিদ্যালযের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে। নিয়োগ বোর্ড বসার আগেই কাল্পনিকভাবে সে নিউজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কোন প্রার্থীকে নাকি চাকরি দিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়াও সে কয়েক সপ্তাহ পূর্বে ৱ্যাগিং এর মত অপরাধে জড়িত হয়েছে যার তদন্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে জমা হয়েছে।

আমাকে ব্যক্তিগতভাবে  ফ্রেমিং করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অগ্রযাত্রা কে বাধাগ্রস্ত করা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিউজটি করা হয়েছে। ২০২২ এর প্রথম দিকে আমি ভিসি এর দায়িত্ত্ব নেয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে আমার নেয়া পদক্ষেপগুলো সর্বক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে - যেমন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ranking বৃদ্ধি করা, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম বারের মত বৃত্তি চালু করা, প্রথম বারের মত উন্নত মানের জার্নাল এ প্রকাশনার জন্য শিক্ষকদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে GST ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসা, দুর্নীতি বন্ধ করা, বিশ্ববিদ্যালয়য়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনা স্বাস্থ্যকর ও  নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরী করা, গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধিতে BCSIR ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে MOU প্রতিষ্ঠা, খেলাধুলায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে আগানো, ছাত্রীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করানো, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের উপর জ্ঞান বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা ,এবং শুধুমাত্র দেশপ্রেমিক ও মেধাবী শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়াl এই সমস্ত কারণে যারা দুর্নীতিতে নিয়োজিত ছিল ও জামায়েত শিবিরের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আমাকে সহ সরকারের ক্ষতি করার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন নিউজ করে পরিকল্পিতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা বন্ধ ও সরকার কে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করছে। এই ধরণের ষড়যন্ত্রকে বাধা না দিলে কোনো ভালো শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হতে আগ্রহ হারাবেন এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করবে।

লেখকঃ  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য 


 

//এল//

জনসমাগম কমলেও আওয়াবী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চলছে

মধ্যরাতে আইভীর বাসায় পুলিশের অভিযান, বাড়ি ঘিরে রেখেছে জনতা

নতুন পোপ কার্ডিনাল রবার্ট প্রেভোস্ট

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলেন স্নিগ্ধ

মাহফুজ ও আসিফকে সরকার থেকে সরে আসতে বললেন এনসিপি নেত্রী

বেনজীর কন্যার দুবাইয়ের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়ল

মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: গভর্নর

জোড়াতালি দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব নয়: তথ্য উপদেষ্টা

ওয়ালটনের অত্যাধুনিক স্মার্ট ফ্রিজ উন্মোচন

ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রীর

বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসে সংকটের মুখে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম