
সংগৃহীত ছবি
ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা যুদ্ধের রূপ ধারণ করতে চলেছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা শঙ্কার মধ্যেই পাকিস্তানে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ভারত। জবাবে ভারতের ১৫ শহরেও হামলা চালায় পাকিস্তান। চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, ফোনালাপে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা হবে।
অন্যদিকে, উত্তেজনা প্রশমনে ভারত ও পাকিস্তানকে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন রুবিও। এ ছাড়া ওয়াশিংটন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এরপর দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকির মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। যা রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে। গত ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে অন্তত ১০০ জন নিহতের দাবি করে দিল্লি।
অন্যদিকে, ভারতের হামলার জাবাবে ওই দিনই সীমান্তে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান। এতে ৫০ ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি করে ইসলামাবাদ। এ ছাড়া ৭ মে রাতে ভারতের ১৫ শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান।
//এল//