ছবি সংগৃহীত
জানুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানসহ শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের ওপর পূর্ব ঘোষিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন প্রশাসন যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের নাম প্রকাশ্যে না আনলেও— ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিভ্রান্তিকর তালিকা।
এদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ও বর্তমান আমলা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, সরকার, বিরোধী দল ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের নাম। বিভ্রান্তিকর তালিকা এসব তালিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ভুয়া তালিকা শত শত শেয়ারও হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নীতিমালা অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকা তারা প্রকাশ না করে গোপন রাখে। কেবলমাত্র ওই ব্যক্তি চাইতে গেলে তখনই প্রকাশ পায় মার্কিন আইনের অধীনে ভিসার রেকর্ডগুলোর গোপনীয়তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এসব তালিকাকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভূয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান বুম বিডি ২৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) তাদের সাইটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ‘ভয়েস বাংলা’ নামে একটি পেজ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরসহ ১০ জন বিরোধীদলীয় নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করা হয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন। একই দিন ‘লন্ডন বাংলা চ্যানেল’ নামে একটি পেজ থেকে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান প্রায় ৯০ জন ঊর্ধ্বতন আধিকারীকের নাম দিয়ে বলা হয়, তাদের নাম ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ ও রাজনীতিকসহ ৩৫ জনের নামের একটি তালিকাও ফেসবুকে ঘুরতে দেখা গেছে। এসব তালিকা নিয়ে ফ্যাক্ট ওয়াচসহ ভুয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা শুরু হয়েছে তারা নিজে থেকে যদি নিশ্চিত না করেন, তাহলে বাইরের কারও পক্ষে এ সম্পর্কে জানা অসম্ভব। কিন্তু ভাইরাল পোস্টগুলোতে যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সবার পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
ইউ