
ফাইল ছবি
সরকারি দপ্তরগুলোকে একবার ব্যবহার্য (Single-Use) প্লাস্টিকমুক্ত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সচিবালয় থেকেই এই যাত্রা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয় সম্পূর্ণরূপে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক মুক্ত হবে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
প্লাস্টিক বর্জনে সরকারি উদ্যোগ
পরিবেশ উপদেষ্টার বক্তব্যে সরকারিভাবে প্লাস্টিক বর্জনের পদক্ষেপ ও লক্ষ্যের মূল বিষয়গুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
-
লক্ষ্য ও সময়সীমা: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়ে পানির বোতলসহ অন্যান্য একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয়কে পুরোপুরি প্লাস্টিকমুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে।
-
আইনি অবস্থান: তিনি উল্লেখ করেন, দেশে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আইনত নিষিদ্ধ না হলেও, সরকার এর ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করছে।
-
সচেতনতা ও অনুসরণ: উপদেষ্টা জানান, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসকে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেছে। সরকারি দপ্তরগুলোতেও এই উদ্যোগ সফল করতে কাজ চলছে।
বাস্তবায়ন কার্যক্রম তদারকি
সচিবালয়ে প্লাস্টিকমুক্ত করার এই কার্যক্রম এদিন সকালে থেকেই জোরেশোরে শুরু হয়। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মনিটরিং করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
-
মনিটরিং এলাকা: সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ সচিবালয়ের ২ ও ৫ নম্বর প্রবেশপথে বাস্তবায়ন কার্যক্রম তদারকি করেন।
-
কর্মকর্তাদের সচেতনতা: এ সময় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ ও ফাইল সংগ্রহ করে তাদের হাতে বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়।
-
অন্যান্য পরিদর্শন: সচিবালয়ের ভেতরে সচেতনতামূলক পোস্টার, বোর্ড ও স্ট্যান্ডি পরিদর্শন করেন সচিব। তিনি পর্যটন করপোরেশনের ক্যাফেটেরিয়া ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যান্টিনও ঘুরে দেখেন।
-
প্রবেশপথে তল্লাশি: একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন রোধে সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ইউ