
ফাইল ছবি
গন-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বাংলাদেশে আবারও পুরোনো সমস্যাগুলো ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ আগস্ট (বুধবার) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ) টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “নির্বাচন যদি বৈধ না হয়, তবে এর কোনো অর্থ নেই। আমার কাজ হলো এমন একটি গ্রহণযোগ্য, পরিষ্কার ও আনন্দদায়ক নির্বাচন নিশ্চিত করা।”
ইউনূস জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের নির্ধারিত বেশিরভাগ লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এখনও ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, কারণ পূর্ববর্তী ব্যবস্থায় দুর্নীতি, অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ ছিল ব্যাপক।
হাসিনা ইস্যুতে ভারতকে আহ্বান
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আগস্টে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে এবং বিক্ষোভ দমনে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশ তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করলেও দিল্লি সাড়া দেয়নি।
ইউনূস বলেন, “আমরা ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি—আপনারা তাকে রাখুন, আমাদের বিচার চলবে। কিন্তু তিনি যেন দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো সুযোগ না পান।”
আঞ্চলিক কূটনীতিতে নতুন অবস্থান
শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ঢাকার আঞ্চলিক কূটনৈতিক অবস্থান কিছুটা বদলেছে। মার্চে ইউনূস বেইজিং সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “আমাদের পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে, ভারতের সঙ্গেও আমরা ভালো সম্পর্ক চাই। এটা শুধু চীনের জন্য নয়—ভারত বা অন্য যে কেউ এর সুযোগ নিতে পারে।”
দায়িত্ব নিতে না চাওয়ার কথা
৮৫ বছর বয়সী ইউনূস জানান, প্রথমে তিনি দায়িত্ব নিতে চাননি। কিন্তু ছাত্রনেতাদের অনুরোধ ও জনগণের ত্যাগ তাকে রাজি করায়। নির্বাচন শেষে তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান।
শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ আর পথভ্রষ্ট হবে না এবং যুবসমাজ ভোটের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন ব্যালট বাক্সে তুলবে। “আমি চাই একটি ভালো সরকার আসুক, যা গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলবে,” বলেন ইউনূস।
ইউ