
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আন্দোলন সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই। যুগ যুগ ধরে চলে আসা আমাদের মানসিক সংস্কৃতি ভাংতে হলে দরকার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। এছাড়া ওসিসি এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারগুলোর সেবার মান খুবই শোচনীয়। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য জেলাগুলোতে এর কার্যকরিতা তেমন নেই। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আইনি সহায়তায় আদালতে যাবে না। বরং আদালতকে তার কাছে আসতে হবে। একজন বাক প্রতিবন্ধী ইশারা ভাষা কতটা জানে সে বিষয়ে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) নাগরিক উদ্যোগ ও একুয়ালিটি নাউয়ের আয়োজনে রাজধানীর ওয়াই ডব্লিউ সি এ তে 'বাংলাদেশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীর প্রতি যৌন নির্যাতনঃ সামাজিক এবং আইনগত চ্যালেঞ্জ বিষয়ক পরামর্শ সভা'য় বিশিষ্টজনেরা এসব কথা তুলে ধরেন।
পরামর্শ সভা'য় অংশ নেন একুয়ালিটি নাউ এর প্রতিনিধি জুলি থেক্কুদান এবং কিটন এলেন গেসেসে, অনন্যা কল্যাণ সংগঠন এর নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু নেলি, বাদাবন সংঘের লিপি রহমান, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের সুমাইয়া ইসলাম, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নারীপক্ষের কামরুন নাহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আখতার, আমরাই পারির নিবাহী প্রধান জিনাত আরা হক, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের জয়ীতা প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সংস্থার অষ্টমী মালো, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুরভুরিয়া চা বাগানের তামান্না সিং বাড়াইক, ব্লাস্ট এর সিনিয়র রিসার্চ অফিসার মনিষা বিশ্বাস, মানবাধিকার সংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজনিন শবনম, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) থেকে রুহি নাজ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, কাপেং ফাউন্ডেশনের উজ্জ্বল আজিম, ক্রিশ্চিয়ান এইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন,জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি বিচিত্রা তির্কি, গ্রীন বাংলা গার্মেন্ট ওয়ার্কার ফোরাম এর সভাপতি সুলতানা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।
গবেষণাটির সহায়ক ফারহান হোসেন জয় গবেষণার তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ৫৪ শতাংশ নারী বা কন্যা কোনো না কোনোভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরি মধ্যে বাক প্রতিবন্ধী ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী, শিশু কিশোরীরা বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
জুলি থেক্কুদান এবং মিস কিটন এলেন গেসেসে বলেন, আমাদের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে সামাজিক ট্যাবু খুব বেশি। আমাদের ভালো ভালো আইন আছে, কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক দুর্বলতা রয়ে গেছে। এজন্য আমরা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনগুলোকে একত্রিত করে জনমত গঠনসহ যৌথভাবে এডভোকেসি করছি। এ লক্ষ্যে আমরা প্রত্যেক দেশে এরকম পরামর্শ সভার মাধ্যমে নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় সংগঠনগুলোর সাথে পরামর্শ করে তা প্রতিকারের উপায়গুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
ডনাই প্রু নেলি বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রতিনিয়ত ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এর অধিকাংশই আমাদের নজরে আসে না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভয়। আমরা এখনো ভয়কে জয় করতে পারিনি। এছাড়া সামাজিক স্টিগমা এবং ভাষাগত বাধা তো আছেই।
তিনি বলেন ‘আমি আমার জেলায় আমার মত করে ধর্ষনের শিকার নারীদের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি। কিন্তু অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। বান্দরবান জেলায় বাবা কর্তৃক এক ১৬ বছরের কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ঘটে যার ফলে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে কিশোরীকে গ্রাম থেকে বের করে দেয়া হয়। তার কোন যাবার জায়গা না থাকায় আমি আমার বাসায় তাকে আশ্রয় দেই।‘ তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য সরকারি এবং বেসরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্র থাকা দরকার। আমাদের মত সংগঠনগুলোর তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত৷ যাতে তারা পরবর্তীতে লড়াই করার মত শক্তি এবং সাহস পায়।
কামরুন নাহার বলেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনে কাজ করার সুবাদে নারীদের অনেক বিষয় জানার সুযোগ হয়েছে। নারীদের কথা শুধুমাত্র প্রান্তিক নারীদের জন্য নয় মূলধারার নারীদের জন্য একই, কি শহর কি গ্রাম সবখানেই একই অবস্থা। কিছু সুপারিশ এতোমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আবার কিছু ভালো উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করেছে যেমন ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার। এটা একটা গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র ডোনার নির্ভর প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোগ গুলো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ধর্ষনের সংজ্ঞা এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা যারা একত্রিত হয়ে কাজ করছি আমাদের মধ্যেও কিছুটা সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সংস্কার কমিশন কিছু সুপারিশ এর প্রতি একমত জানিয়েছেন। খুব ছোট ছোট হলেও বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপুর্ণ। যেমন ক্যামেরা ট্রায়াল। নির্যাতনের শিকার মানুষের কথা শোনার মত সময় আদালতের নাই। বিগত এক বছরে অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল। যেমন ক্ষতিপুরণ আইন। নির্যাতনের শিকার মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায় সহজ হতো। সাক্ষ্য সুরক্ষা আইন করার ব্যপারে কারো কোন আগ্রহ নেই। আমরা গবেষণা করছি, সুপারিশ দিচ্ছি, কিন্তু বাস্তবায়নে অনেক ঘাটতি রয়েছে। বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের যে সুপারিশগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হবে। জেলা ভিত্তিক দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেদের সদিচ্ছা জরুরি। স্থানীয় সিএসও গুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া প্রয়োজন। সরকারি হট লাইন গুলোতে প্রাপ্ত অভিযোগ গুলো ঠিকভাবে বিবেচনায় নেয়া হয় কি না তা দেখা জরুরি।
অধ্যাপক সালমা আখতার বলেন, সেইফ হোমেও নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীরা পরিবারের সদস্য দ্বারাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সামাজিক ধারণা এখনো এক জায়গায় আটকে আছে। আমাদের এ ব্যাপারে আরো গবেষণা করতে হবে। তথ্য উপাত্ত সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরগুলোকে জানাতে হবে।
লিপি রহমান বলেন, নির্যাতনের শিকার নারীরা অভিযোগ জানাতে গেলে তারাই উলটো হয়রানির শিকার হয়। যে সকল সংগঠন নারীদের নিয়ে কাজ করে তাদের উচিত নারীদের কথা বলার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এছাড়াও তাদের সচেতন করা এবং সাহস দেয়ার প্রতিও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
অষ্টমী মালো বলেন, একজন বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য নির্যাতন জানানো কঠিন। কারণ আমাদের আইনি ব্যবস্থায় এমন কোন বিধান নেই যে একজন বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তার প্রতি নির্যাতনের ঘটনা ইশারা ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে জানাতে পারেন। এইদিকে নজর দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আমাদের দেশের আদালতগুলোতে প্রবেশাধিকার সীমিত। কারণ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, আদালত ভবন গুলোতে কোন প্রকার র্যাম্প সিড়ির ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তামান্না সিং বাড়াইক বলেন, চা বাগানের একজন নারী শ্রমিক বর্তমানে দৈনিক ১৮০ টাকা মজুরি পান। যার ফলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। চা বাগান এলাকাগুলো খুবই নির্জন যা মূলত নারী চা শ্রমিকদের জন্য খুবই অনিরাপদ। তাই এখানে ধর্ষণের মত ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এই ঘটনাগুলোর অধিকাংশই প্রকাশ পায় না। যেগুলো প্রকাশ পায় সেগুলোর ক্ষেত্রেও ভুক্তভোগী যথাযথ বিচার পায় না। চা বাগানে নারীদের সংগঠন নেই বললেই চলে। সুতরাং নারীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার সুযোগ চা বাগানে খুবই কম।
তিনি বলেন, চা বাগানে নারীর প্রতি যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আরো অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও এই এলাকার নারীদের সংগঠিত করার ব্যাপারেও আমাদের কাজ করতে হবে।
জিনাত আরা হক বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নারী কোন না কোনভাবে প্রান্তিক। আমরা শুধু সচেতনতার কথা বলি। কিন্তু শুধু মাত্র সচেতনতা বাড়িয়ে লাভ কি? আমরা সচেতন হয়ে যদি নিজের কাজটা ঠিকভাবে করতে না পারি, এই সচেতনতা আমাদের কোন কাজে আসবে না। আমরা যারা কথা বলতে পারি তারা জায়গামত গেলে বোবা হয়ে যাই। সুতরাং যারা দায়িত্ব নিবে তাদের আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই তাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হবে। পুলিশের কাছে গেলে সেবা পাওয়া নিয়ে আমরা ভয়ে থাকি। ভয় না কাটাতে পারলে আমাদের গবেষণার সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। আমরা যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বলছি তারা শুধুমাত্র সরকারের দ্বারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তা না, তারা আমাদের দ্বারাও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সুতরাং আমাদের সকলকে তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মনিষা বিশ্বাস বলেন, আমরা অনেকেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য প্রান্তিক শব্দ ব্যবহার করি। তবে আমরা ‘স্ট্রাকচারালি সাইলেন্ট গ্রুপ’ শব্দ ব্যবহার করি। আমরা দেখেছি অনেক সুস্থ মানুষ বাসে উঠে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ আসনে বসে পড়েন। আবার অনেকেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য যে ডেডিকেটেড লিফট আছে সেটি ব্যবহার করেন। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কোর্টে কে নিয়ে যাবে এ নিয়েও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। নারী নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ জানানোর জন্য যে হটলাইন নম্বর রয়েছে সেখানে ফোন করলে যিনি বা যারা রেস্পন্স করেন তারা সকলের ভাষা বুঝতে পারেন কি না তা আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ভিকটিমের জন্য আদালতে সেবা পাবার ক্ষেত্রে যাতায়াত ভাতার ব্যবস্থা থাকলেও তা তারা পায় না।
রেখা সাহা বলেন, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ একটি গবেষণার কাজ শুরু করেছে। আমাদের সাথে গবেষণা দলে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক রয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গবেষণাটি পরিচালনা করা একটু চ্যালেঞ্জিং। তারপরও গবেষণাটি পরিচালনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আশাবাদী।
সুমাইয়া ইসলাম বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের কথা উঠে এসেছে। বাংলাদেশে নারীদের জন্য যুদ্ধের ময়দান চলমান। আমরা সরকারের কাছে স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশ দিয়েছি। পুরুষ নারীকে কোন প্রকার আক্রমণ করবে না এবং নারীও পুরুষকে কোন প্রকার আক্রমণ করবে আমরা এমন সমাজ চাই। আমরা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা এমন শব্দ আর শুনতে চাই না।
বিচিত্রা তির্কি বলেন, আমাদের এখন রুখে দাঁড়ানোর সময় চলে এসেছে। আমাদের নিজেদের সংগঠিত থাকতে হবে। আমাদের নিজেদের লোকজনই বিচার চায় না। তারা বলে বেশি জানাজানি হলে মেয়ের বিয়ে হবে না।
সুলতানা বেগম বলেন, একজন গার্মেন্টস ম্যানেজারের ২৪ জন নারীর ধর্ষণের ঘটনায় আমরা পদক্ষেপ নেয়ায় উক্ কর্মকর্তার চাকুরি চলে যায়। তিনি আবার নির্যাতিত নারীদের এখনো হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নাই। আমরা চেষ্টা করছি যাতে করে গার্মেন্টস এর নারী শ্রমিকেরা নিরাপদে কাজ করতে পারেন।
জাকির হোসেন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা অনেক বেশি মাত্রায় দেখা যায়। সামাজিক স্টিগমার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই নির্যাতনের ঘটনাগুলো কোথাও ডকুমেন্টেড হয় না। সুতরাং বিচারের আশা করা অবান্তর। সম্প্রতি নাগরিক উদ্যোগ, বাদাবন সংঘ, ডব্লিউডিডি এবং অনন্যা কল্যাণ সংগঠন যৌথভাবে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে। গবেষণাটি পরিচালনায় সহযোগিতা করেছেন ফারহান হোসেন জয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীর প্রতি যৌন নির্যাতনের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং এ সংক্রান্ত প্রচলিত আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ আলোচনার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরা।
ইউ