সংগৃহীত ছবি
কামালপুরের যুদ্ধের দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন ও মোঃ আবু তাহের সরকারকে সম্মাননা জানালো জামালপুর সমিতি।
সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে জামালপুর সমিতির আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্বল ধানুয়া কামালপুরের যুদ্ধের স্মৃতিচারণ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কামালপুরের যুদ্ধের দুই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানায় জামালপুর সমিতি।
প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
সমিতির নির্বাহী সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে কামালপুরের যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন এই যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের সরকার। বক্তব্য দেন সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সমিতির সহসভাপতি এডভোকেট মুজিবুর রহমান, মোঃ সুজাত আলী, অধ্যাপক ডা. আব্দুর রহমান, যুগ্মসম্পাদক রাজু তালুকদার, হুমায়ুন কবীর আকন্দ, যুবনেতা আশরাফ ফারুক হীরা, প্রবাসী নেতা মোঃ জাকির হোসেন।
১৯৭১ সালে এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয় বর্তমানে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুরে। জেড ফোর্সের অধীন ১ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৯৩ ব্রিগেডের অধীন ৩১ বালুচ রেজিমেন্টের ৩১ জুলাই - ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত যুদ্ধশেষে দেশের প্রথম এলাকা হিসেবে হানাদারমুক্ত এই অঞ্চল।
সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, একাত্তরে জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় অধিবাসী যোগ দিয়ে একে জনযুদ্ধে রূপ দিয়েছিলেন। দেশের সর্বপ্রথম হানাদারমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সেই যুদ্ধের জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সবাইকে সম্মান জানাবে জামালপুর সমিতি। পাশাপাশি ২০২৪ এর মুক্তিযুদ্ধে জামালপুরের এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী ১৭ জন শহীদ পরিবারকে অনুদান কিংবা কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিবে। পিকনিক ও সম্বর্ধনা প্রদানের বাইরে এলাকাবাসীর জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানব উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণের জন্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলির এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র ও যুব প্রতিনিধিরা জামালপুর জেলার ২৪ এর আহত যোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি কামালপুরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ধন্যনাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে এবং জাতির সংকটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মত এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা যতদিন জাতি স্মরণ করবে, ততদিন কোন অপশক্তি দেশকে বিভাজিত করতে পারবে না। ২৪ এর আন্দোলনে ছাত্রজনতা তা প্রমাণ করেছে।
আলোচনা শেষে দেশাত্মবোধক কবিতা ও গান পরিবেশিত হয়।
//এল//
