
ছবি সংগৃহীত
ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যরাতের এক হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের অন্তত ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। হামলাটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে ‘সুবহান আল্লাহ’ মসজিদে চালানো হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, নিহতদের মধ্যে মাসুদ আজহারের বড় বোন, তার স্বামী, ভাগ্নে, ভাগ্নে-পত্নী, ভাগ্নী এবং তাদের পাঁচ সন্তান রয়েছেন।
জইশ-ই-মোহাম্মদের দেওয়া বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলায় সংগঠনটির মাসুদের চার ঘনিষ্ঠ সহযোগীও প্রাণ হারিয়েছেন। মাসুদ আজহার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, স্বজন হারানোর বেদনায় তিনি বিচলিত নন; বরং মনে হচ্ছে তিনিও যেন তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারতেন।
জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত এই সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহার ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত। ২০০১ সালের সংসদ হামলা, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে আসছে ভারত।
সর্বশেষ এই হামলার সূত্রপাত হয় কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর। ভারতের দাবি, বুধবার মধ্যরাতে তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে ২৫ মিনিটে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যাতে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন। এলওসি বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলিও হয়েছে, যাতে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ১০ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ভারতীয় সূত্র অবশ্য তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
এই ঘটনার ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।
ইউ