ছবি সংগৃহীত
পাহাড়ের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সক্রিয় তিন সদস্য আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
আটক হওয়াদের মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলো বলে যৌথ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, ব্যাংক ডাকাতির সময় ব্যবহার করা একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে যৌথবাহিনী থানচিতে অভিযান চালিয়ে কেএনএফের তিন সদস্যকে আটক করে বলে জানান বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন।
এর আগে কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এদিকে পাহাড়ে সন্ত্রাস দমনে নামানো হচ্ছে বিশেষ সাঁজোয়া যান। এগুলো বান্দরবানের রুমা-থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে।
এই সাঁজোয়া যান হচ্ছে যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্র সজ্জিত যানবাহন, যা মূলত পদাতিক বাহিনীকে যুদ্ধের ময়দানে আসা-যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
গত সপ্তাহে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা রুমা ও থানচিতে সরকারি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিন শাখায় হামলা চালায়। ব্যাংকে লুটপাট ছাড়াও অস্ত্রের মুখে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা।
থানচিতে তিনটি গাড়িতে চড়ে দিনদুপরে গুলি করতে করতে ব্যাংক ডাকাতি করতে আসে কেএনএফ সদস্যরা।
আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই: সেনাপ্রধান আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই: সেনাপ্রধান
নগদ টাকাসহ লুট করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি। পরে র্যারের মধ্যস্থতায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আলীকদম উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ তল্লাশি চৌকিতেও হামলা চালায়।
ডাকাতি লুটপাট ও অপহরণের বিভিন্ন ঘটনায় আটটি মামলা হয়েছে। কেএনএফকে দমন করতে সরকারের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইউ