ফাইল ছবি
বগুড়ায় থানায় হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান ওরফে নুরুর ৬ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে গ্রেফতারকৃত বাকি ৮ আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযানে মাদক ও ২টি বার্মিজ চাকুসহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ওরফে নুরু অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয় এবং অপর পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারো আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় জেলা পুলিশ, র্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুসহ ৯জনকে গ্রেফতার করে। পরে নুরুর বাড়ি থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং ম্যানেজার নাজমুলের বাড়ি থেকে ৮ রাউন্ড গুলিসহ আরও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ইনচার্জ মুস্তাফিজ হাসান জানায়, থানায় হামলার ঘটনায় নুরুজ্জামানসহ সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, সাইদুর রহমান খোকন, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মো. মিতুল এবং ওয়াবুজ্জামান রাতুলের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
