ছবি সংগৃহীত
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ চিহ্নিত করতে চার সচিবকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব ও অর্থ সচিবের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ চিহ্নিত করে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাঁচ ব্যক্তির করা এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সামরিক সরকার মিছিল-মিটিং বন্ধ করে দেয়। তা সত্ত্বেও নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, খুলনা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ হয়। ১৯৭৫ সালে জাতীয় মুক্তি বাহিনী ও জাতীয় মুজিব বাহিনী নামে দুটি সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু ভক্ত ছাত্র, তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধারা তখন ওই বাহিনীতে যোগ দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সপরিবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৭ বছর পার হলেও সেই ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।
২০২২ সালে পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধা সংক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের রিটের শুনানি শেষে আদালত আজ ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ চিহ্নিত করার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
ইউ