ছবি সংগৃহীত
গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানা ২৭ নম্বর ওয়ার্ড লক্ষীপুরা এলাকার অসহায় নারী তাহমিনার (৪৫) নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রতিবাদে এএসআই জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
অসহায় মানুষদেরকে ধরে নিয়ে মামলা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও এলাকার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে ঘুষ বাণিজ্য করাই এ এস আই জহিরুল ইসলামের কাজ।
তাহমিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে লক্ষীপুরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
তাহমিনার বড় মেয়ে রুনা আক্তার (২৫) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
এসময় তাহমিনার বড় মেয়ে রুনা আক্তার বলেন, গত ২৭শে মার্চ সন্ধ্যার পর আমার আম্মাকে বাড়ির সামনে একটি কাপড়ের দোকান থেকে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায় এ এস আই জহিরুল ইসলাম। পরবর্তিতে আমার আম্মা আমাদের ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে বলেন দারোগা জহিরুল ইসলাম আমাকে আটক করে এবং দুই মহিলা দিয়ে আমার উপর নির্যাতন করছে। সে আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করছে, টাকা নাদিলে সে আমাকে ছাড়বে না, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলা দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এরপরে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে ধার করে আমাদের বাসার সামনে এ এস আই জহিরুল ইসলামকে এক লক্ষ সাত হাজার টাকা ও প্রায় তিন ভরি স্বর্ণ অলংকার দেই। টাকা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে তিনি আমাদের বলেন তোমাদের আম্মাকে সকালে ছেড়ে দিবো, পরবর্তীতে তিনি আমার আম্মাকে ছেড়ে না দিয়ে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেন।
এএসআই জহিরুল ইসলামের বিচার ও তাহমিনার নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাহমিনার স্বামী মো. জুলহাস মিয়া, ছোট মেয়ে রাজিয়া সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে এ এস আই জহিরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে পারবো না। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আপনারা জানতে পারবেন ‘
ইউ