ছবি: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লোগো...
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও তার দুই সহযোগী কর্তৃক মা ও মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানানো হয়েছে
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বুধবারের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বরাতে বিবৃতিত বলা হয়, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী কাজের সুবাদে বাড়ির বাইরে থাকেন। এলাকার প্রভাবশালী নেতা আবুল খায়ের মুন্সী মেম্বার প্রায়ই ওই গৃহবধূকে মুঠোফোনে ও আকার ইঙ্গিতে অনৈতিক কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ওই নারী প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। গত ৬ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ স্বামীর অনুপস্থিতিতে আবুল খায়ের প্রকাশ মুন্সী বসতঘরের সিঁধ কেটে প্রবেশ করে ঘরের দরজা খুলে আরো দুজনকে প্রবেশ করায়। এরপর তারা মা ও মেয়ের হাত-মুখ বেঁধে তাদের দুজনকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা তারা লুট করে নিয়ে যায়। মা ও মেয়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এলাকার প্রভাবশালীদের দ্বারা নারী ও কন্যাশিশুরা ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা নারী ও কন্যাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে এবং ঘরে-বাইরে নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে যা তাদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নারী ও কন্যার প্রতি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আশু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিবৃতিতে জোর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানানো হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানানো হয়েছে। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইউ