
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, ‘দুষ্টের দমন করে শিষ্টের প্রতিপালন করা রাষ্ট্রের নীতি হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থ করে এক অবরুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা নারীর অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়।’
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আয়োজনে নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য এবং নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্থ করা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, ব্লাষ্ট্রের প্রতিনিধি ফারজানা আখতার রুমি, এডাবের প্রতিনিধি সমাপিকা হালদারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা তুলে ধরে দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “দেশের সুরক্ষা ও ঐক্যের জন্য সকল নাগরিককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘নারীদের ওপর ক্রমাগত হয়রানি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা, যৌন সহিংসতা এবং নানা ধরনের হয়রানিমূলক ঘটনা নারীর ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রের ভূমিকার পশ্চাৎপদতাকে প্রকাশ করছে। তাই আমরা সবাইকে এই অবস্থা থেকে নারীদের রক্ষা করতে এবং রাষ্ট্রীয় মনোভাব পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে ব্লাষ্ট্র, এডাব, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকমণ্ডলী ও মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।
মানববন্ধনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদ এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
ইউ