ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪

English

বৃত্তের বাইরে

‘নারীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে’

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১০ মার্চ ২০২৪

‘নারীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে’

ছবি সংগৃহীত

মহিলা পরিষদের উদ্যোগে‘নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে নারীর জন্য বিনিয়োগ অপরিহার্য’ বিষয়ক প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীতে সংগঠনটির আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নারীবাদি সংগঠনটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সভায় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, এমপি। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএস’র গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন; সিপিডি-এর  গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম; দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বোর্ড অব ডিরেক্টর প্রীতি চক্রবর্তী।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘বাজেট হচ্ছে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের একটি মাধ্যম। দেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে নারীর উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। এই উন্নয়নকে টেকসই করতে এখন সরকারের বাজেট বিশ্লেষণে করণীয় নির্ধারণ করা জরুরি। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় থাকা চ্যালেঞ্জ উত্তরণে আর্থিক বিনিয়োগের উপর এখন গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আর্থিক নীতি, সামাজিক নীতি, শিক্ষা সুরক্ষানীতিসহ সব নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নারীদের উপস্থিতি এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। নারীর জীবনমান উন্নয়নে ও নিরাপত্তা রক্ষায় এনার্জি সেক্টরের উপর ও জোর দিতে হবে।’

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকটে নারীর অগ্রগতির  অবস্থা আরো নাজুক হয়ে উঠেছে, যার জন্য নারীর জন্য বিনিয়োগের বিষয়টি বারবার সামনে আসছে। এই বিনিয়োগ জেন্ডার প্রেক্ষিত থেকে হওয়া বাঞ্ছনীয়। নারী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের ৪৪টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেট প্রণীত হলেও তা জেন্ডার বৈষম্য দূর করে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় কতটা কার্যকর  হচ্ছে সেটি এখন মনিটরিং করতে হবে ও জেন্ডার লেন্স থেকে গবেষণা হওয়া দরকার।’

গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, এমপি বলেন, ‘বাজেট তৈরি হলেও নারীর জন্য থাকা ক্রিটিক্যাল বিষয়গুলো, ফেমিনিজম অব এগ্রিকালচার, জেন্ডার লেন্স-এর প্রতিফলন দেখা যায়না। নারীরা সর্বহারা- এমন পরিস্থিতির উত্তরণে নারী উন্নয়ন নীতিমালার বাস্তবায়ন ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার সবার জন্য থাকা আইনে আসতে হবে।’

বিআইডিএস-এর গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন বলেন, ১৫-২৯ বছরের নারীর শিক্ষার হার পর্যালোচনায় দেখা যায় শিক্ষায় অনেকটা সাম্যতা অর্জিত হয়েছে। এর সাথে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একটা রুপান্তর ঘটেছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অর্থনৈতিক দিক শক্তিশালীকরণ ও সামাজিক পুঁিজর দিকটি গুরুত্বপূর্ণ।  তবে ৩০ বছর  এর উর্দ্ধে থাকা নারীরা অনেকে অবৈতনিক খাতে কাজ করছেন, তাদের জন্য সরকারিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, তাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে, ১৭.৪% নারী প্রধান খানা (ফিমেল হেডেড হাউজহোল্ড) আছে, তাদের জন্য ভাতার হার ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে। আর্থিক অর্ন্তভূক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধি করতে টার্গেটেড কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

সিপিডি-এর  গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘জেন্ডার বাজেটের সংজ্ঞায়ন পরিবর্তনে কাজ করতে হবে; সংসদে বাজেট প্রণয়নের পূর্বে বাজেট নিয়ে আলোচনা করা না গেলেও বাজেটের কাঠামো নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে; সংসদীয় কমিটির সাথে এবিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ ইতিবাচক ভাবে দেখা গেলেও আসলে  অন্যান্য কাজে যুক্ত হওয়ায় পুরুষের ছেড়ে দেয়া জায়গায় নারীর অর্ন্তভূক্তি ঘটেছে। এখানে নারী ও পুরুষের মজুরী বৈষম্যে পার্থক্য আছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে এর বড় নেতিবাচক অভিঘাত পড়বে নারীর উপর, এই অবস্থায় সরকারের নিকট বিশেষায়িত ফান্ড তৈরির জন্য জোরালো দাবি উত্থাপন করতে হবে।’

দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, চাইল্ড কেয়ার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। মেয়েদের শিক্ষায় অগ্রগতি হলেও উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়,এবিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার।’ বাংলাদেশে ছেলেমেয়েদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সুযোগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে, এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কাজকরার আহ্বান জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে শরমিন্দ নিলোর্মী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রকাশিত ডাটার আলোকে নরওয়ে ভিয়েননাম ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাসহ  অন্যান্য অবস্থানের তুলনামূলক আলোচনা করে বলেন, ‘অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলেই একটি দেশের নারীদের উন্নতি হবে এমনটি ভাবার সুযোগ নেই।নারীদের জন্য আলাদা বরাদ্দের খাত থাকতেই হবে। নিজ দেশের বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা করার উপর তিনি এসময় গুরুত্বারোপ করেন। আইসিডিডিআরবি-এর গবেষণায় বলে শহরের ৫০% পুরুষ মনে করে নারীদের নির্যাতন সহ্য করতে হবে, শহরে লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশনে নারীর অংশগ্রহণ কমছে। এসকল পরিস্থিতিবে বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৬%এখানে নারীর জন্য সেবামূলক কর্মসূচি বৃদ্ধি করতে হবে। জেন্ডার বাজেটের কার্যকর প্রয়োগ ঘটাতে হলে  নারীবান্ধব প্রজেক্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; সম্পদ সম্পত্তিতে নারীর উত্তরাধিকার নিশ্চিতের উপর জোরদিতে হবে; মালিকানার সমতা ও স¦ত্তাধিকারের দিকের উপর জোর দিতে হবে।’

সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ,  প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ  এবং সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুন শান্তি।

ইউ

নরসিংদীতে বজ্রপাতে প্রাণহানি ২

যে দেশে সন্তান নিলেই পাবেন ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা !

‘বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে’

ডিএসইসির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

বাজেট ঘোষণা ৬ জুন 

ভারতের কাছেও হোয়াইটওয়াশ টাইগ্রেসরা

মেয়ের মা হলেন পরীমণি

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পেলেন এনামুল

সিআইপি কার্ড পেলেন যে ১৮৪ ব্যবসায়ী

অটোয় যাত্রী তোলা নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণহানি ৩

তামিলনাড়ুতে বিস্ফোরণে প্রাণহানি ৮

রাতে বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ

পিরোজপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে

নিজের নামে স্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর না