
ছবি: মহিলা পরিষদের লোগো...
ঢাকার সাভারে ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটের চর উত্তরপাড়া গ্রামে বাড়ির সদস্যদের অচেতন করে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও লুটপাট এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশু-কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা
১৯ আগস্ট ও ২৪ আগস্ট জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের বরাতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার কিশোরী ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২১ আগস্ট (সোমবার) কৌশলে রাতের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশানো হয়। পরিবারের সদস্যরা খাওয়ার পর নিজ নিজ ঘরে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এর মধ্যে দুজন মধ্য বয়স্ক ও এক জন তরুণ। মধ্য বয়স্ক দুই ব্যক্তি কিশোরীর হাত-পা বেঁধে মুখে রুমাল গুজে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এ সময় তরুণ ওই ছেলেটি দরজার সামনে দাঁড়িয় থাকে এবং পরে ঘর থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল লুট করে পালিয়ে যায় তারা।
এদিকে ১৯ আগস্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীর হরিণাচালার সেলিমনগর এলাকায় মা-শিক্ষা নিকেতন কোচিং সেন্টারে সকালে ক্লাস করতে গেলে কোচিং সেন্টারের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন সাগর অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ছাত্রীটিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে রাখেন পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
অন্যদিকে একইদিন শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মানিককুড়া গ্রামে অটোরিকশাচালক কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তার কাপড় খুলে মুখে চেপে ধরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মাধখলা গ্রামে মসজিদের এক ইমাম সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০ আগস্ট (রবিবার) সাত বছরের শিশুটি মাদ্রাসায় পড়তে যায়। পড়া শেষে ইমাম হোসেন তাকে ফুসলিয়ে মসজিদের বারান্দার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বেগজনকভাবে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন বয়সের শিশু-কিশোরীরা ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছে। ঘরে-বাইরে কোথাও নারী-কন্যারা নিরাপদ নই। সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম নারী, তরুণী ও কন্যাশিশুদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে, তাদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাড়িঁয়েছে।’
বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বানা জানিয়েছে সংগঠনটি।
ইউ