
৬ দফা দিবস পালনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
নানা কর্মসূচিতে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালন করছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠন। কর্মসূচির শুরুতে বুধবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণা।
এদিকে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা জাতীয় সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু।
পরবর্তীতে ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচার চালান এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের কাছে ৬ দফার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সর্বস্তরের মানুষের স্বতস্ফূর্ত সমর্থনে সে সময় ৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার জাতীয় মুক্তির সনদ। পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে দেশে পূর্ববাংলার সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা আদায়ে হরতাল ডাকে আওয়ামী লীগ। হরতালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।
৬ দফার প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক জনসমর্থন, শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আইয়ুব সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। ফলে বিক্ষোভে গর্জে ওঠে বাংলার রাজপথ। ৬ দফার সেই আন্দোলন পরবর্তীতে রুপ নেয় বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রামে।
//জ//