ঢাকা, বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

English

মতামত

জনপ্রিয়তা শীর্ষে থেকেও কেন পিছিয়ে পড়লেন সুনাক? 

মারিয়া সালাম

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

জনপ্রিয়তা শীর্ষে থেকেও কেন পিছিয়ে পড়লেন সুনাক? 

মারিয়া সালাম

মাত্র এক বছর আগেই টরিদের নতুন নেতা হবার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন ঋষি সুনাক আর লিজ ট্রাস ছিলেন অনেকটাই পিছিয়ে। 

অথচ, মাত্র একমাসের প্রচারণার পরই কনজার্ভেটিভদের নেতা নির্বাচনের ফলাফল  অভাবনীয়ভাবে পাল্টে গেল। লিজ ট্রাস হলেন নতুন নেতা, একই সাথে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনের ফলাফল এমনটাই হবে বলেই ধারণা করছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে ট্রাসের এই বিজয় মোটেই অনভিপ্রেত নয়। 

বরিস জনসন ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই, ঋষি সুনাকই প্রথম পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নিজের প্রার্থিত ঘোষণা করেছিলেন। অন্যদিকে, শেষ প্রার্থী হিসেবে এই দৌড়ে যোগ দিয়েছিলেন লিজ। প্রথম কয়েক রাউন্ডে সবার আগে ছিলেন সুনাকই। কিন্তু যত দিন গিয়েছে ততই ঋষির জনপ্রিয়তা কমেছে, আর পথ পরিষ্কার হয়েছে লিজ ট্রাসের। কিন্তু, কেন প্রথম থেকে এগিয়ে থেকেও, শেষ রাউন্ডে এসে পরাজিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাক? 

অনেকেই বলছেন, সম্ভবত তাঁর ভারতীয় স্ত্রী অক্ষতাই তাঁর পতনের কারণ। সানডে টাইমসের ধনী তালিকা অনুসারে, অক্ষতা মূর্তি ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের থেকেও ধনী। গত মাসে লেবার পার্টি ঋষি সুনাকের ব্যবসার তহবিল সংগ্রহের জন্য ঋণ গ্রহণের বিষয়ে আরও স্বচ্ছতার দাবি করেছিল। তারপরই এই দম্পতির সম্পত্তি নিয়ে কাঁটাছেঁড়া শুরু হয়। অক্ষতা মূর্তি ইনফোসিস সংস্থার ০.৯৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক, যার মূল্য ৬৯ কোটি ইউরো। এদিকে, অক্ষতা এখনও ভারতীয় নাগরিক। যুক্তরাজ্যে আবাসিক না হওয়ায় তিনি যুক্তরাজ্যে কর দিতে দায়বদ্ধ নন। তাই গত বছর তিনি প্রায় ২ কোটি পাউন্ড কর বাঁচাতে পেরেছেন। ফলে ঋষির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি গরিবদের থেকে কর নিচ্ছেন। অথচ, যেখানে তাঁর স্ত্রীই কর দেন না।

এরপরেই বলতে হয়, বরিস জনসনের পতনের কথা। বরিস জনসনের পদত্যাগ করার পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল ঋষি সুনাকেরই। চ্যান্সেলর পদ থেকে সুনাকের ইস্তফার পরই একযোগে বরিস সরকারের সাংসদরা নিজ নিজ পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। পতন ঘটেছিল বরিস জনসন সরকারের। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর প্রতি অবিশ্বাস কাজ করেছিল কনজ়ারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মনে। যে কারণে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে অনেকেই অনিচ্ছুক ছিলেন।

অন্যদিকে কেন্ট কমিউটার বেল্ট’ প্রকল্পের জন্য ‘বঞ্চিত শহুরে এলাকা’ থেকে অর্থ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন ঋষি। এতেই ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি করেছিল। এর আগে যুক্তরাজ্য সরকার ব্রিটেনে অর্থনৈতিক সাম্য আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব ব্রিটেনের বাইরে সম্পদ ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। ঋষি সুনাকের পদক্ষেপ সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে বলে মনে করেছেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির সদস্যরা।

গ্রিনকার্ড রেখে দেওয়াও হারের পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে। চ্যান্সেলর হওয়ার পরও ১৮ মাস ধরে গ্রিন কার্ড ধরে রেখেছিলেন ঋষি সুনাক। পরে আমেরিকায় তার প্রথম সরকারী সফরের সময়, ২০২১ সালে তিনি ওই কার্ড ছেড়ে দেন। ব্রিটেন দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দিলেও, এই ঘটনা কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে ছিল ক্ষতিকর। গ্রিন কার্ড থাকার কারণে ব্রিটেন নিয়ে সুনাকের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। আর তাতেই টরিদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হলেন তিনি।

//জ//

মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিলেন বেনজীর আহমেদ

নবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী পরিবারকে মারপিটের অভিযোগ 

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

কেউ হিট স্ট্রোক করলে কী করবেন?

প্রীতি জিনতা-রণবীরের ভিডিও ভাইরাল! 

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

নেত্রকোণা হাওরে ধান কাটার ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে চুক্তি-সমঝোতা

বাচ্চাদের টিফিন দিয়ে শুরু, শিউলী এখন সফল উদ্যোক্তা

এবার বৃষ্টিতে ডুবলো আরেক মরুর দেশ সৌদি আরব

কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ঢাকায় কাতারের আমির, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আজ

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত