সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশে গার্মেন্টস-এ কর্মরত নারী শ্রমিকদের প্রতি সহনশীলতার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি। বাংলাদেশে তৈরি বিদেশি পোষাকখাতের অধিকাংশ কারখানা রয়েছে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামে।
এসব জেলায় ৩২শর বেশি কারখানায় কর্মরত রয়েছেন ৩৫ লাখের বেশি শ্রমিক। এদের নারী কর্মীর সংখ্যা বেশি। মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন ।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন বা এএএফএ অনুসারে আরও হাজার হাজার শ্রমিককে আটকের হুমকি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সরকারের কাছে একটি খোলা চিঠিতে, মার্কিন বাণিজ্য গোষ্ঠী এখনও আটকে থাকা বিক্ষোভকারীদের মুক্তির এবং বিক্ষোভের সময় শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী সহিংসতার তদন্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক উৎপাদনকারী এবং মার্কিন বাজারে ক্রমবর্ধমান উল্লেখযোগ্য পোশাক সরবরাহকারী দেশ ।
ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা বিপর্যয় পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ বেড়ে যায়৷ চালু হয়েছে অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স এবং টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷ সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। মজুরি বৃদ্ধি দাবি জানানোর পর শ্রমিকদের ওপর নেমে আসে জেল-জুলুম।চাকরিচ্যুতের পাশাপাশি পাঠানো হয় কারাগারে। বিশেষ করে নারী শ্রমিকরাই বেশি নির্যাতানের শিকার হয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র অভিযোগ।
এদিকে দেশে নারী শ্রমিকদের ক্রমাগত হ্রাসের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে মায়েদের শিশুদের পরিচর্যাকে ছেড়ে যাওয়াই। এছাড়া উল্লেখ করা হয়েছে, গর্ভাবস্থা এবং গর্ভবতী হওয়ার জন্য বৈষম্য, বয়সের উপযুক্ততা, কাজ এবং বাড়ির দায়িত্বের ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধা এবং হয়রানি, সহিংসতা, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং কম বেতন সহ কাজের অবস্থা।
বাংলাদেশ আরএমজি শিল্পে ক্রমবর্ধমান নারী শ্রমিক” শিরোনামের প্রতিবেদনটি টেকসই টেক্সটাইল ইনিশিয়েটিভ: টুগেদার ফর চেঞ্জ (স্টিচ) এর অর্থায়নে এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ (ইটিআই), জিআইজেড এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির যৌথভাবে পরিচালিত একটি গবেষণার ফলাফল। ) এবং নেদারল্যান্ডসের বিদেশ মন্ত্রক দ্বারা সমর্থিত। প্রতিবেদনে আরএমজি শিল্পে প্রবেশ এবং প্রস্থান, মহিলা গার্মেন্টস কর্মীদের প্রবেশ এবং প্রস্থান উভয়ের কারণ এবং ৪২ মার্কিন বিলিয়ন আরএমজি সেক্টরে মহিলাদের অংশগ্রহণের জন্য এই পরিবর্তনগুলির প্রভাবের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), ১৯৮০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট করেছে যে নারী শ্রমের অনুপাত ৮০ ভাগ ছিল।
//এল//