ছবি সংগৃহীত
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকায় ইব্রাহিম হোসেনের চার তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন: ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২২) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)।
অগ্নিদগ্ধ নুরুল ইসলামের স্বজনরা জানান, সেহরীর জন্য রান্না করতে রান্না ঘরে যান সুফিয়া বেগম। এসময় তিনি গ্যাসের চুলা জ্বালাতে আগুন ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনিসহ পরিবারের অন্য ৩ সদস্য অগ্নিদগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ধামরাই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদেরকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন। বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের বেশ কিছু আসবাবসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সেহরির জন্য রান্না করতে গেলে তিন কক্ষ বিশিষ্ট ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি বলেন, তিতাসের গ্যাসের আবাসিক সংযোগের পাশাপাশি গ্যাস সংকটের সময় তারা সিলিন্ডার গ্যাসও ব্যবহার করতেন। সিলিন্ডার নাকি আবাসিক গ্যাস সংযোগের গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি। আগুনে প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আগুনে নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়ার শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ ও আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক অপর জনের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইউ