
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শেখ হাসিনার বিরোধের কারণে তিনি রাজনৈতিক ও আইনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একে ‘নোংরা রাজনীতি’ আখ্যা দেন এবং নিজের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগগুলোকে অবাস্তব বলে দাবি করেন।
প্রধান পয়েন্টসমূহ:
-
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা ও মুহাম্মদ ইউনূসের বিরোধের কারণে তিনিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
-
গতবছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ভাগনি তিনি।
-
দাবি করেছেন, আদালতে হাজির হওয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক সমন তিনি পাননি, অভিযোগও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি।
-
অভিযোগ—পূর্বাচলে মা, ভাই ও বোনের জন্য প্লট নিতে প্রভাব খাটিয়েছেন; টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
-
আগামী সোমবার ঢাকার আদালতে তাঁর ও আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হবে।
-
তিনি সশরীরে বা ভিডিওলিংকের মাধ্যমে হাজির হবেন কি না, তা আইনজীবীর পরামর্শে ঠিক করবেন।
-
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচার চলতে পারে; দোষী প্রমাণ হলে প্রত্যর্পণ ইস্যু সামনে আসতে পারে।
-
টিউলিপের দাবি, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।
-
শেখ হাসিনার পতনের পর রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
-
২০১৩ সালে রাশিয়া সফরে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়েও বিতর্ক; টিউলিপ দাবি করেন, সফরে তিনি শুধু পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন।
-
আরও অভিযোগ—২০০৪ সালে কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ ও ক্রিকলউডে নিজের বাড়ি রেখে অন্যের বাড়িতে থাকা; তিনি দাবি করেছেন নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই বাড়িতে উঠেছিলেন।
-
অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টতা পেতে আইনি উদ্যোগ নিয়েও ফল পাননি।
-
এ বছর ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
-
লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের অপরাধ তদন্ত সংস্থা; যার একটি বাড়িতে টিউলিপের মা শেখ রেহানা বসবাস করতেন। টিউলিপের দাবি, এসবের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
ইউ