
ছবি সংগৃহীত
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট এই সরকার শপথ নেয়। গত এক বছরে সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা, শাসনকার্যক্রম, অর্থনীতি ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
জুলাই সনদ ও রাজনৈতিক ঐক্য
গত ৫ আগস্ট 'গণঅভ্যুত্থান দিবস' উপলক্ষ্যে সরকার 'জুলাই ঘোষণাপত্র' উপস্থাপন করে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। 'জাতীয় ঐকমত্য কমিশন'-এর মাধ্যমে এই সনদের চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে বলা হয়েছে।
সংস্কার ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি
সরকার গঠিত নয়টি সংস্কার কমিশন (নির্বাচন, পুলিশ, বিচার, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক অধিকার ও নারী বিষয়ক) তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের পদক্ষেপের ফলে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮%-এ নেমে এসেছে, যা গত ৩৫ মাসে সর্বনিম্ন। ড. ইউনূসের লক্ষ্য ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৬%-এ নামানো।
রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক রিজার্ভ
প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে টাকার মান শক্তিশালী হয়েছে। গত অর্থবছরে রেকর্ড ৩০৩৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা রপ্তানি আয় ৯% বাড়িয়েছে। এছাড়া, গত ১১ মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সত্ত্বেও রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী পদক্ষেপ
নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। সরকারের priorities-এ রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি পুনর্বাসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন। ড. ইউনূস জোর দিয়েছেন, "জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রতিশ্রুতি পূরণেই আমাদের সাফল্য।"
ইউ