ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ৩০ জুলাই ২০২৫

English

জাতীয়

গঙ্গাচড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা: আসকের নিন্দা

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ২৯ জুলাই ২০২৫

গঙ্গাচড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা: আসকের নিন্দা

ফাইল ছবি

রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নে সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে পরিকল্পিত হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মংগলবার  আইন ও সালিশ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে বলা হয়,  কেবল একটি কিশোরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য রাষ্ট্র ও সমাজের মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয়। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ এবং সংবিধানে দেওয়া সকল নাগরিকের সমান অধিকারের পরিপন্থী।

প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, অভিযুক্ত কিশোর স্থানীয় একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। পুলিশ তাঁকে আটক করে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকা সত্ত্বেও, এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে মাইক ব্যবহার করে উস্কানিমূলক প্রচার চালানো হয় এবং একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা করে। এ হামলায় বহু ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয় এবং সমগ্র এলাকায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের ভাষ্যমতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আসক লক্ষ্য করেছে, ধর্মীয় অনুভূতির দোহাই দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার এই ধারাবাহিকতা আশঙ্কাজনকভাবে ঘটে চলেছে। এমন ঘটনা বারবার সংঘটিত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দোষীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই দায়মুক্তির সংস্কৃতি বিচারহীনতার এক ভয়াবহ নজির তৈরি করছে, যা সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্রের মূলনীতির পরিপন্থী। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭, ২৮ এবং ৪১ অনুচ্ছেদ প্রত্যেক নাগরিককে ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বৈষম্যহীনভাবে সমতা, ধর্ম চর্চার স্বাধীনতা এবং সুরক্ষা প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়। এই ধারাগুলো বারবার লঙ্ঘিত হওয়া অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

এই প্রেক্ষাপটে, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছে- এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; আক্রান্ত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ধর্মীয় উস্কানি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে রাষ্ট্রকে কার্যকর ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, এই ঘটনার দায় এড়ানোর সুযোগ রাষ্ট্রের নেই। যারা অপরাধ করেছে এবং যারা দায়িত্বে থেকেও এই ধরনের হামলার ঘটনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে, উভয়েরই জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হবে মানবাধিকারের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একমাত্র পথ।

ইউ

নারী পোশাক শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল মনিটরিং টুল

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর চুক্তির পথে বাংলাদেশ

বিটিআরসির নতুন নীতি: ১০টির বেশি সিম বন্ধ

রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, ১৪ দেশে সুনামি সতর্কতা জারি

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু, আবেদন ফি ২২০ টাকা

মুন্নী সাহাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড

অন্তর্বর্তী সরকারের ’এক্সিট’ ভাবনা: দেবপ্রিয়

গঙ্গাচড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা: আসকের নিন্দা

বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পদে রূপান্তরিত করার প্রতি গুরুত্ব

চার বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ৯ সেপ্টেম্বর ভোট

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ৯ সেপ্টেম্বর ভোট

শ্রমিক অধিকার: আইএলও সনদে ব্লাস্টের স্বাগত

আবারও দ্রোহযাত্রা: দেশের সর্বস্তরের জনগণকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান