ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, ১৩ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪

English

সাহিত্য

অণু গল্প

ভাগ্যিস 

নাসরীন জাহান

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২১ মে ২০২৩

ভাগ্যিস 

নাসরীন জাহান

রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলাম। হালকা শীত আর গরমের প্রচ্ছায়ায়, গলির বাতি আমার মুখে শরতের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিচ্ছিল।
ভাবছিলাম, কোথায় যাওয়া যায়?

অদ্ভুত রাতছায়া বদচ্ছায়ায় রীতিমতো নিভে যেতে থাকার আগেই কুকুরেরা কেঁদে ওঠে। আসলে শীতকার। বুঝতে সময় লাগে কারণ আমি বাড়ির লাত্থি খেয়ে বেরিয়ে এসেছি।  দিনরাত অনেক খারাপ লাগে, অনেক অসহ্য আর অনেক রক্তাক্ত লাগে।

এরেঞ্জ ম্যারেজে আমার আশৈশবের স্বাধীনতা মরে গেছে। একসময় যার সাথে প্রেম ছিলো, কাশবন ছিল, গোপন ঘরে 
চুমোচুমি ছিল, যখন ভাবতাম, কোনদিন ছেড়ে যাব না,,অনেক অন্ধকার আর আলোর চ্ছটায়, চাঁদ আর বাতাসের উড়ালে আমরা ভাসব, উড়ব, বলত, আমি তোমার ব্রা,র মাপ জানি, ধুর,,আমিও জানি তুমি শুধু শরীর শরীর কুসুম,,,
তখন আমাদের ওপর দিয়ে ঘুঘুপাখি, আর ডোডোপাখি এক ঝাপটায় উড়াল দিত।

বলতাম, পাহাড় আর আকাশের ওপর দিয়ে আমরা ডিম ছাড়ব। ওহ, ডোডো পাখি?অত বাচ্চা বাচ্চা করো না। ঘোড়ার ডিমের শিল্পী তুমি,ঠিক আছে, মন খারাপ করো না,আমাকে একটু দাঁড়াতে দাও।

আব্বা ধর্মের বই পড়তে দিতেন, আম্মা রান্নার। আর আমি কোনটাই না পরে প্রেমিক কে বলতাম, কিছু করো, এই জমানায় দরিদ্র বাবা মা ক, জন মেয়েকে ঘরে রেখে পড়াশোনা করায়?

বলত, বিয়ে বিয়ে করে পাগল হয়ো নাত? জানো না, প্রেমে যে যত পাত্তা না দেয়, প্রেম ঘন হয়? তুমি অন্য কারো প্রেমে পড়েছ?
ধুর! প্যাচাল পেরো না। এই করে করে হঠাৎ জেনে যাই, সে আমার বান্ধবীর প্রেমে পড়েছে।

অন্ধকার রাত্রির নিচে দাঁড়িয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকি। কুকুরের দল আমাকে ঘিরে ধরলে দেখি,কোন এক মাতাল গান গাইতে গাইতে ভাঙাচুরা পথে হোঁচট খেয়ে আমার কাছে এসে থেমে গেছে।

আসমান থেকে ধেয়ে নেমেছে রাত্রির রঙধনু,,প্রেমিকের নাম মনে পড়ে, অনির্বাণ,, ভেতর থেকে তার নাম ভেসে ওঠে,, কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয়, অনির্বাণ আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, আমি আমাকে ছেড়ে যাওয়া বিরহের ওর বিরহের চাইতে অপমানে অসহ্য হয়ে যাওয়ায় এরেব্জ ম্যারেজ করেছিলাম।

কেন নিজের পায়ে দাঁড়ালাম না? কেন বিয়ের রাতে অনির্বাণের কথা নিজের সহজ সরল স্বামী কে জানাতে গেলাম? 
কেন সত্যের সাথে মিথ্যা না মিশালে দাম্পত্য জীবন টিকেনা, বুঝলাম না? কেন তাকে লাত্থি দেয়ার সূযোগ দিলাম? 
চুদির ভাই,,তোর মায়েরে,,বাসর রাতে বলেছিল হারামিটা,, বাবা মার দারিদ্র্য কে ঘেন্না লাগছিল।

জানতাম, ওই বাড়িতে ফিরে গিয়ে লাভ নেই, মানিয়ে নিতে বলবে। কিন্তু তারপরেও তো ওদের পায়ের নিচে পড়ে না থেকে হুহু রাস্তায় বেরিয়ে আসতে পেরেছি। কম কী? কার বাড়ি যাওয়া যায়?

পাড়াতো চাকরিজীবি নারীর কথা মনে পড়ে। যাকে শ্বশুরবাড়ির চৌদ্দগোষ্ঠি পছন্দ  করত না, স্বাধীন স্বাধীন বলত বলে। 
মনে পড়ে, ভালো বুটিকের কাজ জানি বলে, সে আমাকে নিজের কাজের সাথে প্রচুর জড়াতে চাইত।

বুকের মধ্যে বাতাস লাগে। ধীরে ধীরে কুয়াশা র সাথে রোদ পড়ার মতো ভেতরের ভয় কেটে যেতে থাকে।
আমাকে কুকুরেরা ঘিরে থাকে, মাতাল বলে,,এতো রাইতে কই যাবি? কাছেই থানা আছে, যাবি? না। কিছুটা বিন্যস্ত হয়ে বলি,,আমি আমার একটা বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি, কাছেই,, কুকুরেররা আমাকে ঘিরে রাখে।

যা,জলদি যা, এতোরাইতে রাস্তাঘাট ভালা না, জিন্দেগী জিন্দেগী বলতে বলতে মাতাল চলে যেতে থাকলে,  ধাতস্থ হয়ে মনে আমার হয়, ভাগ্যিস ফাঁসির দড়ি ফসকে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলাম।
 

//জ//

কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না: বিএসএমএমইউ ভিসি

বিএসএমএমইউতে সভা ও জাতীয় সম্মেলন  অনুষ্ঠিত 

 ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই একটি হাসপাতালের প্রাণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এক চুমুতে আড়াই বছরের জেল!

ঢাবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে প্রিয়ন্তি প্রথম

ডিজিটাল সুরক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

নারীর নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিতে পুরুষদের সম্পৃক্তের আহ্বান

ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

মায়ের উৎসাহে চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হয়েছেন শায়লা

চালক ছাড়াই ট্রেন চললো ৭০ কিলোমিটার!

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়: জাতিসংঘ

রাজধানীতে শিশু অপহরণ বেড়েছে: ডিবি প্রধান

কর্মবিরতি প্রত্যাহার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

ঠাকুরগাঁওয়ে রোজাদার ও শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ