
প্রতীকী ছবি:
এবারের পুরো রমজান কাটাতে হবে গরমের দিনে। এসময় প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে সবাইকে। তাই এসময় খাবারে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ইফতারিতে এমন কিছু খাওয়া যাবে না যাতে, পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি ৯ ঘণ্টা পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।
ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। দীর্ঘসময় অভুক্ত থেকে ইফতারিতে তেল ও মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ায় অনেকেই গ্যাস্ট্রিকে ভোগেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকমুক্তভাবে রোজা পালন করা যাবে:
গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ:
১. পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হবে।
২. বুক জ্বালাপোড়া করবে।
৩. খাবারের আগে পরে পেট ব্যথা হতে পারে।
৪. খাবারের সময় বুকে বাঁধ পড়ার মতো অনুভব হবে।
৫. ঢেকুর আসবে।
৬. বমি বমি ভাব থাকবে এবং খাবারের চাহিদা কমে যাবে।
৭. অল্প খাবারেই পেট ভরে গেছে মনে হবে।
রোজায় গ্যাস্ট্রক নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী বর্জন করতে হবে:
১. অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।
২. ইফতারের শুরুতেই লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
৩. ইফতারের পর পরই চা, কফি কিংবা কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না।
৪. কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই ইফতারির তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিন বা পরিমাণে খুব কম রাখুন।
৫. একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করুন।
৬. পায়খানা আটকে রাখবেন না।
গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে ইফতারিতে যা খেতে পারেন:
১. ইফতারের আয়োজনে তাজা ফল যেমন– বাঙ্গি, পেঁপে, আখ ইত্যাদির রস পান করা ভালো।
২. তাজা ফলের রসের বিকল্প হতে পারে ইসবগুলের ভুষি অথবা তোকমার দানা মিশ্রিত শরবত।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন যারা তাদের জন্য পাকা পেঁপে দারুণ উপকারি।
৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে একটু একটু করে।
৫. হজমশক্তি ভালো রাখতে শসার সালাদ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য মহৌষধ।
৬. মাগরিবের আজানের পর দুই থেকে তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে খাবারে কিছুক্ষণ বিরতি পড়বে। নামাজের পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করলে পেট ফাঁপা কিংবা অস্থির লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৭. ইফতারির আয়োজনে একদিন নুডুলসের (কম তেলে রান্না) সঙ্গে সালাদ, কোনোদিন পায়েস (চিনি কম), কোনোদিন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
//জ//