ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, , ০৩ জুলাই ২০২৫

English

লাইফস্টাইল

ঈদে খুশি ভাগাভাগি: সামর্থ্যবানদের দায়িত্ব ও সম্পর্কের গভীরতা

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৩২, ১ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪৬, ১ এপ্রিল ২০২৫

ঈদে খুশি ভাগাভাগি: সামর্থ্যবানদের দায়িত্ব ও সম্পর্কের গভীরতা

ছবি সংগৃহীত

ঈদুল ফিতর, রমযান মাসের পরবর্তী দিন, শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি এক সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার সময়ও। এই দিনে মুসলিম সমাজ পরিশুদ্ধি লাভের পর, নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খুশি ভাগ করে নেয়। তবে ঈদের আনন্দ শুধু খাবার, উপহার বা অর্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য নিয়ে আসে— সামাজিক সম্পর্কের গভীরতা এবং সহানুভূতি।

রমযান মাস ছিল আত্মশুদ্ধি ও পরিশুদ্ধির সময়, যা মুসলিমদের আত্মবিশ্বাসে, মনোভাব ও আত্মিক দিক থেকে আরো সমৃদ্ধ হতে সহায়তা করেছে। ঈদের সময়, তাই, নিজেদের আত্মিক উন্নতির পাশাপাশি অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের মান বাড়ানো এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— সামর্থ্যবানদের দায়িত্ব এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতি।

সামর্থ্যবানদের দায়িত্ব
ঈদের আনন্দ ভাগ করতে গিয়ে, যারা সামর্থ্যবান, তাদের উচিত নিজের অবস্থান বিবেচনায় রেখে, বিনয় ও সহানুভূতির সঙ্গে উপহার বা খরচ করা। রমযান মাসের পর পরিশুদ্ধতা অর্জনের সাথে সাথে, ঈদের সময় তাদের দায়িত্ব হলো— নিজের সামর্থ্যের মধ্যে সবার জন্য আনন্দ তৈরি করা। অর্থের বিনিময়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করা হয় না, বরং আন্তরিকতা, সহযোগিতা এবং সম্পর্কের মান বৃদ্ধি করাই আসল।

সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা জানেন, ঈদে খুশি ভাগ করার প্রক্রিয়া সবার জন্য এক হতে পারে না, কারণ সবার সামর্থ্য আলাদা। তবে তাদের উচিত, এমন কিছু করতে যা অন্যদের জন্য চাপ সৃষ্টি না করে। অর্থাৎ, যাদের খরচ বা দানে সামর্থ্য নেই, তাদের সম্মান দিয়ে সহযোগিতা করা উচিত। তাদের কোনো ধরনের চাপ অনুভব না করিয়ে, আন্তরিকতার সঙ্গে উৎসাহিত করা উচিত।

অর্থ নয়, সম্পর্কের গভীরতা—ঈদের প্রকৃত মূল্য
ঈদের সময় উপহার দেয়া বা খরচ করা একটি প্রথা হলেও, এটি কখনোই সম্পর্কের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে না। সামর্থ্যবানদের উচিত, ঈদের খুশি পরিপূর্ণভাবে ভাগ করে নিতে, তবে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী। যারা অতিরিক্ত খরচ করতে চান, তারা যেন নিজেদের অবস্থা বুঝে ব্যয় করেন এবং অপরের ওপর কোনো চাপ না তৈরি করেন। এটি কখনোই ভুল নয় যে, ঈদের মূল উদ্দেশ্য হলো— ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সহযোগিতা।

সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় ও দান: সহানুভূতির সাথে
ঈদের আনন্দ সবার জন্য— তা শুধু পরিবারের সদস্য, আত্মীয় বা বন্ধুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। এটি কেবল অর্থনৈতিক দান নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধের প্রকাশও। একজন সামর্থ্যবান ব্যক্তি যদি জানেন যে, অন্যের পক্ষে খরচ করা কঠিন, তবে তাকে যেন ব্যয়ে, দানে বা উপহারে চাপ না দেয়া হয়। সমাজে এমন একটি সহানুভূতির পরিবেশ গড়ে উঠতে হবে যেখানে ঈদের আনন্দ সবার জন্য সুলভ।

সমাজে চাপ না দেওয়া: প্রত্যাশার বেড়াজাল থেকে মুক্তি
ঈদের সময় সামাজিক চাপ অনেকের কাছেই অনুভূত হয়— কখনো উপহার দেওয়ার, কখনো বা অন্যদের তুলনায় বেশি খরচ করার। কিন্তু আসল বিষয় হলো, অর্থ নয়, আন্তরিকতা। ঈদ উৎসবের সময়, বিশেষত যারা সামর্থ্যবান, তাদের উচিত সবসময় মনোভাব ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা। ঈদ যদি শুধু উপহার বা ব্যয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, তবে এটি এর আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাবে। সুতরাং, ঈদ একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি, এবং সমর্থন প্রদর্শন করার দিন হওয়া উচিত, না যে শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে।

শেষ কথা: ঈদ— সহানুভূতির, দানের, এবং সম্পর্কের ঐক্যবদ্ধ উৎসব
ঈদ হলো কেবল আনন্দের নয়, এটি সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সম্পর্কের গুণগত মানের উৎসব। ঈদের খুশি সব মানুষের জন্য, তবে তা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভাগ করা উচিত। যারা সামর্থ্যবান, তারা নিজেদের অবস্থান বিবেচনায় রেখে খুশি ভাগ করুক, তবে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি না করে। অন্যদিকে, যারা সামর্থ্যবান নন, তাদেরকে কখনোই অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা নিতে হবে না।

এতে সমাজে তৈরি হবে এমন একটি সুন্দর পরিবেশ, যেখানে ঈদের প্রকৃত আনন্দ— সম্পর্কের গভীরতা, মানবিক মূল্যবোধ, এবং সহানুভূতি— সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। ঈদ আসুক, সবার হৃদয়ে শান্তি, সহানুভূতি, এবং ভালোবাসা বিরাজ করুক।

ইউ

মুরাদনগরে একই পরিবারের নারীসহ ৩জনকে পিটিয়ে হ*ত্যা

একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি 

 তাসকিনের কফি খেতে খেতে ৫ উইকেট শেষ!

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ফেরিডুবি, নিখোঁজ ৪৩

পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযান, কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

রেকর্ড ধসে বাংলাদেশের লজ্জার হার

এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৪১৬

এনবিআরের তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসর

মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৭৫০ মিলিয়ন ডলার আয়ের মেরিন সেক্টর আজ চরম সংকটে

বড় দল হিসেবে বিএনপির স্যাক্রিফাইসটাও বেশি: তারেক রহমান

ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত