ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

English

সাক্ষাৎকার

মানুষ হিসেবে নিজের সম্পূর্ণ অধিকার চাই-আজ়মেরি হক বাঁধন

প্রকাশিত: ০০:০০, ১৯ অক্টোবর ২০২১

মানুষ হিসেবে নিজের সম্পূর্ণ অধিকার চাই-আজ়মেরি হক বাঁধন

উইমেনআই২৪ ডেস্ক: ঢাকাই শাড়ি পরে ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় বাংলাদেশের আজ়মেরি হক বাঁধনের ছবি সকলেই দেখেছেন। শুনেছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ দেখে অতিথিরা উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। কিন্তু তার পিছনে যে এক নিরস্ত্র সংগ্রাম রয়েছে অনেকেই জানেন না। তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না, সিঙ্গল মাদার, প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মেয়ের অভিভাবকত্বের জন্য লড়েছেন। অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাঁধনকে আটকানো সম্ভব হয়নি। বাঁধন রক্ষণশীল সমাজে নারীমুক্তি, তথা সমস্ত মানুষের স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্নকেই জাগিয়ে তুলেছেন। অনেকেই তাঁর ফেসবুক লাইভ দেখেছেন, যেখানে ফ্রান্সেও তিনি প্রতিদিন শরীরচর্চা করছেন, আবেগে ভেসে গিয়েও নিজেকে হারাচ্ছেন না। কী তার পিছনের কারণ, শুনে নিই বাঁধনের মুখ থেকেই। 

মানুষ হিসেবে নিজের সম্পূর্ণ অধিকার চাই-আজ়মেরি হক বাঁধন

আপনার ছবি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হবে জানার পর প্রথম রিঅ্যাকশন কী ছিল? 
আনন্দ করার মতো অবস্থায় তখন ছিলাম না। কারণ আমার একটা ডিপ্রেশনের হিসট্রি আছে। তখন একটা অ্যাটাক হয়েছিল। ওষুধ খেয়ে, থেরাপিস্টের সাহায্যে সামাল দিচ্ছিলাম। হয়তো আপনি ভাবছেন, এত আনন্দের খবরে ডিপ্রেসড থাকার কী আছে। কিন্তু ডিপ্রেশন তো একটা রোগ, তাকে আমি চাইলেই তো বশ করতে পারব না।

নিজেকে সবসময় ফিট রাখেন। ফ্রান্সে গিয়েও শরীরচর্চা করেছেন...
করি তো। শুধু ফিট থাকার জন্য নয়। আমি নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখি, নতুন জিনিস শিখি, মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাই... তাও তো যখন অ্যাটাক হওয়ার, হবেই।

এই যে আপনি এত ফিটনেস সচেতন, এটার মোটিভেশন পান কী করে? সকলে তো আপনার সৌন্দর্য বা ফিটনেসটা দেখেন। কিন্তু এর পিছনে অনেক পরিশ্রমও আছে নিশ্চয়ই? 
আমার যখন ডিপ্রেসিভ স্টেট চলে দিনের পর দিন বিছানা থেকে উঠতে পারি না। কিন্তু তারপর আবার নিজেকে দাঁড় করাই। আসলে, আমার কাছে সবচেয়ে বড় মোটিভেশন বা ভয় হল, আমি যদি অসুস্থ হই আমাকে দেখার কেউ নেই। আমার মেয়েকেই বা কে দেখবে ! আজ দশবছর হল, আমি কখনও গুরুতর অসুস্থতার সম্মুখীন হইনি। অনেক ভেবেছি, কেন হইনি? কেন কখনও ভীষণভাবে অসুস্থ হইনি? অনেক ভেবেছি জানেন এটা নিয়ে। মেয়ে জন্মানোর পর থেকে আরও বেশি করে এই ভয়টা কাজ করেছে বলে হয়তো অসুস্থ হইনি। আমি মা-বাবার বাড়িতে থাকি, ফলে আমার মেয়ে একটা পারিবারিক পরিবেশ পায়। তা বাদে আমাদের তো আর কেউ নেই। ফলে নিজেতে ফিট রাখা, ওয়র্কআউট করাটা আসলে বেঁচে থাকার লড়াই বলতে পারেন। 

আপনার স্বপ্ন কী? 
আসলে আমি স্বপ্ন দেখতে পারি না। ছোটবেলা থেকে আমি যে স্বপ্নগুলো দেখেছি, তার কোনওটাই আমার ছিল না। আমার পরিবার, আমাদের সমাজ আমাকে সেই স্বপ্নগুলো দেখতে বাধ্য করেছে। ফলে স্বাধীনভাবে স্বপ্ন দেখার অভ্যেসই কখনও তৈরি হয়নি আমার। নতুন করে এই অভ্যেসটা তৈরি করা যায় না। তবে একটা জিনিস আমি মানুষ হতে চাই। মানুষ হিসেবে নিজের সম্পূর্ণ অধিকার চাই। সমাজের তথাকথিত আদর্শ নারী হয়ে থাকতে চাই না। ওভাবে মরতে চাই না। 

সাক্ষাৎকারের শেষ বাঁধন বললেন, ‘‘আসলে সকলেই আমার গ্ল্যামার, সাজসজ্জা, সাফল্যটা দেখে। তার পিছনের ব্যর্থতা বা লড়াইগুলো জানে না। কিন্তু ব্যর্থতা না থাকলে আজকের সাফল্যটা হয়তো হত না...’’ ঠিকই। 

 

উইমেনআই২৪//এলআরবি//

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া সেরেলাক নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

যে ৪ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে

পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা

বেকারদের জন্য সুখবর

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ভোট করতে মানা 

ধ্রুব এষ আইসিইউতে

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে’

থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আবারো ইনফিনিক্স ও জেবিএল’র পার্টনারশিপ

সরিষাবাড়ীতে নামে মাত্র প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী মেলা

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কুকি-চিনের ৫২ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর