সংগৃহীত ছবি
কোভিড ১৯ রোগটি মানুষের জীবনে একর পর এক বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। এই রোগটি কতশত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বিশ্বব্যাপি! এখনো রোগটি চলমান। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, সব সময় শর্তকতা বজায়ে চলতে।
কেননা কোভিড ১৯ আক্রান্ত মেয়েদের ঋতুমতী হওয়ার আগেই ঋতুস্রাব হচ্ছে! কোভিডের প্রভাবে বহু ক্ষেত্রেই এগিয়ে আসছে মেয়েদের বয়ঃসন্ধির সময়। এমন তথ্য উঠে এসেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত একাধিক গবেষণাপত্রে। সাধারণত ৮-১৩ বছর বয়সের মেয়েরা।
বয়ঃসন্ধির পর নারীদেহে গৌণ যৌন লক্ষণগুলি স্পষ্ট হতে শুরু করে।এর কিছু দিন পরই শুরু হয় ঋতুস্রাব।
কোভিডের প্রভাবে সময়ের আগেই যদি কোনও বালিকা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে যায়, তবে বিষয়টিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘প্রিককিয়াস পিউবার্টি’। কোভিডের পর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এই ঘটনা, বলছেন বহু গবেষক।
আমেরিকার ফুলার প্রজেক্ট’ নামের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে ৫ বছর বয়সেই কিছু মেয়ে পৌঁছে গিয়েছে বয়ঃসন্ধিতে, ৮ বছরে হয়েছে রজঃস্বলা। একই কথা উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইটালিয়ান জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিসিয়ানস’-এও।
তুরস্কের ‘জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রোনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম’-এ প্রকাশিত একশো চব্বিশ জন বালিকার উপর করা একটি গবেষণা বলছে, কোভিডকালের আগে ৩ বছরে প্রিককিয়াস পিউবার্টি দেখা গিয়েছিল মোট ছেষট্টি জনের ক্ষেত্রে।
সেখানে কোভিড চলাকালীন ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ সময়ে আটান্নটি বালিকার দেহে দেখা গিয়েছে প্রিককিয়াস পিউবার্টি। কোভিডের পর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ‘প্রিককিয়াস পিউবার্টি’। এ হেন বিষয়ের প্রভাব শুধু শারীরিক দিক থেকেই নয়, মানসিক ভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে বালিকার উপর।
বয়ঃসন্ধির কালে হরমোনের ভারসাম্যে বদল আসে। ফলে মানসিক টানাপড়েন শুরু হতে পারে। রক্ত দেখে ভয়ও পেয়ে যেতে পারে বালিকারা। তাই এমন ঘটনা ঘটলে কন্যার পাশে থাকতে হবে বাবা-মাকে, পরামর্শ গবেষকদের। তথ্য সুত্র আনন্দবাজার পত্রিকা
//এল//