সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কানাডার ক্যুইবেক বিএনপি ও মুক্তিযোদ্ধা দল কানাডার উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী কর্মসূচিতে ছিল মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভা। জুলিয়েট শহরে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যুইবেক প্রভিন্স বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কানাডা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন, দেশপ্রেম, নেতৃত্বগুণ এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “শহীদ জিয়া ছিলেন গণতন্ত্রের এক নির্ভীক সৈনিক, যিনি স্বাধীনতা-উত্তর সংকটকালীন সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, "শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন এক সাহসী রাষ্ট্রনায়ক, যিনি স্বাধীনতার পরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আজ তাঁর আদর্শ ও আত্মত্যাগ প্রবাসীদের মধ্যেও জাগরণ সৃষ্টি করেছে।”
সভাপতির বক্তব্যে ক্যুইবেক প্রভিন্স বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, "শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সাহসী, দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক। তিনি শুধু একটি রাজনৈতিক দলই প্রতিষ্ঠা করেননি, বরং একটি আদর্শ—‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ প্রতিষ্ঠা করে দেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক মুক্তি ও জাতীয় আত্মপরিচয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছেন। আজকে আমরা প্রবাসে থেকেও তাঁর সেই দেশপ্রেম, নেতৃত্ব ও আদর্শকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর উচিত শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকা।'
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে থেকেও আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অবিচল থাকবো। আগামী দিনে ক্যুইবেক বিএনপিকে আরও সংগঠিত করে প্রবাসে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কানাডা পূর্ব বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুল হাসান হাওলাদার ফারুক, ক্যুইবেক বিএনপির সহ-সভাপতি উল্যাহ মোহাম্মদ নওশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল মোর্শেদ শোয়েব, আবদুল ওয়াদুদ রোকন, কোষাধ্যক্ষ আবদুল জলিল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জুলকার নাইম নজরুল,উদীয়মান যুবনেতা আবদুল আজিজ, রুমেল আলম, মোঃ মইনুদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, বাবলু মিয়া,রাহেল আহমেদ ও আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তার ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ দর্শন আজও প্রবাসে থাকা কোটি বাংলাদেশির প্রেরণা। নেতৃবৃন্দ বলেন, "আমরা প্রবাসে থেকেও তাঁর আদর্শ ও চেতনাকে বুকে ধারণ করে গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে যাব।"
অনুষ্ঠানটি ক্যুইবেক বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ করার নতুন প্রেরণা জোগায় বলে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।
//এল//
