
ফাইল ছবি
বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে মানব পাচার একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয়। বিশেষত নারী, শিশু, দলিত, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং অসচ্ছল জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। পাচারের শিকার ব্যক্তিরা প্রায়শই শ্রম শোষণ, যৌন নিপীড়ন, গৃহশ্রমে নির্যাতন ও জোরপূর্বক বিয়ের মতো ভয়াবহ বাস্তবতার সম্মুখীন হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন থেকে বঞ্চিত থাকেন।
বুধবার ( ৩০ জুলাই), আন্তর্জাতিক মানব পাচারবিরোধী দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য “সংগঠিত অপরাধ মানব পাচার, বন্ধ হোক শোষণের অনাচার”।
এ দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে মানব পাচার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপরাধ, যা মানব মর্যাদা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, মানব পাচার প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করা শুধু রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়-এটি একটি মানবিক ও নৈতিক বাধ্যবাধকতা। পাচার প্রতিরোধে আইনি কাঠামো কার্যকর করা, ভুক্তভোগীদের মর্যাদার সঙ্গে সহায়তা প্রদান এবং সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন একান্ত জরুরি।
এই দিবসকে সামনে রেখে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর এক বিবৃতিতে বলা হয় , মানব পাচার কোনো ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, এটি একটি মানবাধিকার সংকট। প্রতিটি মানুষের নিরাপদ, শোষণমুক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত সমাজ ও রাষ্ট্রের অন্যতম অগ্রাধিকার।
ইউ