
ফাইল ছবি
পাকিস্তানি অভিনেত্রী ও মডেল হুমাইরা আসগর-এর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ৮ জুলাই (মঙ্গলবার) করাচির ডিফেন্স এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার পচন ধরা দেহ উদ্ধারের পর থেকে এই ঘটনা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে।
ফ্ল্যাট মালিকের বক্তব্য
ফ্ল্যাটের মালিক মিরওয়াইজ খান সামা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, হুমাইরা ২০১৮ সালে মাসিক ৪০,০০০ পাকিস্তানি রুপিতে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। তবে ২০১৯ সাল থেকে ভাড়া বাড়ানো ও চুক্তি নবায়ন নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। তিনি দাবি করেন, হুমাইরা ভাড়া বকেয়া রেখে ফ্ল্যাট ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইনি লড়াই চলতে থাকে। আদালতের নির্দেশে ফ্ল্যাট খুলতেই তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নীরবতার সময়রেখা
-
২০২৪ সালের অক্টোবর: স্টাইলিস্ট দানিশ মাকসুদ-এর সঙ্গে শেষ ফটোশুট।
-
এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন হুমাইরা।
-
প্রতিবেশীরা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, যা তদন্তে বাধা সৃষ্টি করছে।
তদন্তের অগ্রগতি
করাচি পুলিশ জানিয়েছে:
-
১০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে হুমাইরার ফোন লগ থেকে।
-
দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, যার মধ্যে ভবনের প্রাক্তন প্রহরীও রয়েছেন।
-
মাদক সংযোগ বা ব্যক্তিগত শত্রুতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
-
ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য ফরেনসিক ল্যাবের ফলাফল অপেক্ষা করছে পুলিশ।
পরবর্তী পদক্ষেপ
আগামী সোমবার আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। পুলিশ হুমাইরার শেষ কয়েক মাসের কর্মকাণ্ড ও যোগাযোগ নিয়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত।
ইউ